মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে আবারো জনগণের সেবা করতে চান হাজী কামাল আহমদ জয়নাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১০:৩৪,অপরাহ্ন ২৪ নভেম্বর ২০২১
শাহজাহান সাজু মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ::
সদর উপজেলার ৭ নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে ২০০৪ এ জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া সাবেক মেম্বার ও বর্তমান ৭নং চাঁদনীঘাট ইউ,পি কৃষক লীগের সভাপতি হাজী কামাল আহমদ জয়নাল আবারো জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চান। পাড়া, মহল্লায়, হাট-বাজার ও বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সুনামের কথা শোনা যায়।
চাঁদনীঘাট ইউনিয়েন ২০০৪-২০১২ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত মেম্বার হাজী কামাল আহমদ জয়নাল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তাঁর এই দীর্ঘ ৯ বছরে ৪নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।
হাজী কামাল আহমদ জয়নাল বলেন, আমার নির্বাচনী সময় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে বেশ কিছু বড় বড় কাজ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আমি বিগত ১০ বছর এই ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলাম না, তাই ওয়ার্ডবাসীর জন্য আমার অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। বিশেষ করে ওয়ার্ডবাসীর যে ধরনের সেবা পাওয়ার কথা, সে সবের কিছুই নেই এই ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ড অনুন্নত ও অবহেলিত।
মেম্বার প্রার্থী হাজী কামাল আহমদ জয়নাল বলেন, মানুষ যদি আমাকে সমর্থন না করতো তাহলে মানুষের সেবা করার সুযোগ পেতাম না। আমার কাজ হবে সাধারন মানুষের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা। তাদের চাওয়া অনুযায়ী আমার ওয়ার্ড হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত ওয়ার্ড। আমি আরও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওয়ার্ডের সব জনগণের প্রতি, যারা আমাকে অতীতের কাজের মূল্যায়ন করে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ করে দেবেন।’ ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা দিয়ে আবারো জনগণের সেবা করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আগের তুলনায় বর্তমান মেয়াদে তার কয়েকগুণ বেশি সরকারি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু ওয়ার্ডে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। ২০০৪-২০১২ পর্যন্ত আমার মেয়াদকালে ৪নং ওয়ার্ডে বেশকিছু উন্নয়ন কাজ করেছি। নিজের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে ও ওয়ার্ডের কাজ করেছি। বরাদ্দ অনুযায়ী কালভার্ট নির্মাণ, ইটসলিং,মাটিভরাট আমার ওয়ার্ডে অনেক করেছি যার সাক্ষী ৪ নং ওয়ার্ডের জনগণ । রিলিফ বিতরনে রিলিফে না পোষালে চাঁদনীঘাট মুদির দোকান থেকে পকেটের টাকা দিয়ে চাউল ক্রয় করে রিলিফ বিতরন করেছি। কাউকে খালি হাতে ফিরতে হয় নি।বয়স্ক ভাতায় কেউ ৬৫ বছরের নীচে অবৈধভাবে নাম লিখাতে পারেননি, অনেক দরিদ্র পরিবারে স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ইউপি সদস্য হওয়ার পূর্বে ও নিজের টাকা দিয়ে সামাজিক অনেক কাজ করেছি। এবার যদি জনগণের সমর্থন পেয়ে পুনরায় আবার নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি যে সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো করবো সেগুলো হল ৪নং ওয়ার্ডের প্রতিটি কাঁচা রাস্তা ইটসলিংসহও কাদামুক্ত করবো। প্রয়োজনে নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে হলেও। কাবিটা প্রকল্পে ৪০ জন শ্রমিক দিয়েই কাজ করাবো। কোন ভূয়া শ্রমিক থাকবেনা। হতদরিদ্র লোকজন তার ন্যায্য পাওনা ( রিলিফ) পাবে। যেটা ২০০৪-২০১২ সালে জনগণ পেয়েছেন। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গুভাতা প্রকৃত উপকারভোগীরা পাবেন থাকবে না কোন স্বজনপ্রীতি। আমার ওয়ার্ডে যত উন্নয়ন করেছি তা কেউ করতে পারেনি। আমি এ ওয়ার্ডকে উন্নয়নের মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে অতীতে কাজ করেছি আবারও নির্বাচিত হলে সে ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’