সন্তান কে অভাবের বদলে ‘আভিজাত্য’ শেখান
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪১:১০,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০২৪
আপনার সন্তান কে অভাবের বদলে ‘আভিজাত্য’ শেখান। তাকে মন ও মননে বড়ো হতে শেখান। তাকে সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটুকু পারেন,দামী জিনিসপত্র কিনে দেন। এডগার এলেন পো কিংবা আইজ্যাক বশেভিস সিঙ্গারের বই জন্ম দিনে গিফট করেন।
তাকে সামান্য রাখাল বালকের ব্যাংকার হওয়ার গল্প না বলে এরদোয়ান কিংবা বাইডেনের গল্প বলেন। ‘মানুষ
তার স্বপ্নের সমান বড়ো হয়’,এই চরম সত্যটা ছোট বেলায় তার মাথায় গেঁথে দেন। তাকে বুঝান ভালো শিক্ষা,ভালো রেজাল্ট করার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
নিউজ পেপার এ প্রকাশিত সমস্ত শিক্ষার্থীর সফলতার
গল্প সত্য হয় না,তাকে বলেন,যেকোন কাজ সন্মানের।
শুধু চেয়ারে বসাই পড়ালেখার উদ্দেশ্য নয়। চিন্তার মুক্তি না হলে,পিএইচডি করেও কোন ফায়দা নেই। নিজের বিবেকের কাছে তাকে সৎ থাকার শিক্ষা দেন। তাকে শিখান একমাত্র ধার্মিক ব্যক্তি এ দিন শেষে শান্তিতে মরতে পারে,অসৎ উপার্জন চিরস্থায়ী হয় না
তাকে বলেন,কোন দেশেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ না। পৃথিবীতে আরো অনেক বড়ো বড়ো দেশ, জাতি, মানুষ, সভ্যতা আছে। প্রচুর ভ্রমণ কাহিনী পড়তে দেন। দশ,বারো বছর বয়স হলেই যেন তার ভিতর চীনের মহাপ্রাচীর কিংবা কাশ্মীরের কোন সকাল দেখার স্পৃহা তৈরি হয়। তার মধ্যে যেন স্বপ্ন তৈরি হয় যে আমি লুক্সেমবার্গ কে আমার দ্বিতীয় বাড়িটি বানাবো যে দেশের জিডিপি কানাডা আমেরিকা থেকেও বেশি
বাচ্চাকে অভাব শিখাবেন কিন্তু তা পালন করা শেখাবেন না। অভাবী মানুষ পৃথিবী কে কিছু দিতে পারে না। এদের জীবন কাটে ধুঁকে ধুঁকে। খরকুটোর মতো বেঁচে থাকা আসলে কোন ‘জীবন’ না। টাকায় দরিদ্র হওয়া কোন অপরাধ না। অপরাধ হলো,নিজের চিন্তা ভাবনা কে ‘গরীব’ করে রাখা।
যে আপনার সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা কে খাটো করে দেখে তারা হতাশা গ্রস্ত লোক। এদের কাছ থেকে ৫০০ হাত দূরে থাকুন। পোস্ট সবাই বুঝতে পারবে না,বোঝার ক্ষমতা থাকা কথাও না,আমরা আমাদের চিন্তার শৃংখলায় আবদ্ধ সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা খুব কম মানুষের আছে