বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে জুড়ীর ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৯:৪০,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০২১
জুড়ী সংবাদদাতা :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।এতে ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টিতে বিএনপি ঘরোনার স্বতন্ত্র প্রার্থী, ২ টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং মাত্র ১ টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয় লাভ করেছেন।উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন কেন্দ্রে নির্বাচন শুরুর সময় ৩৫০ টি ব্যালটে নৌকা মার্কার সিল মারা দেখতে পেয়ে অন্যান্য প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে তা আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়।কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করা হলে প্রিজাইটিং কর্মকর্তা তাদের আটক করে রাখেন।ভোট শেষ হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জায়ফর নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭৯ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৮০১০ভোট।এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে মো জায়েদ আনোয়ার চৌধুরী পেয়েছেন ৩০৭১ ভোট।সাগরনাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর ৭১৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী লিয়াকত পেয়েছেন ৫২২৭ ভোট।গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে ৫৪৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাইয়ূম।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ মনোনীত, ৪ বারের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন পেয়েছেন ৩৫০৩ ভোট।
পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলী। তিনি পেয়েছেন ৪৩৬৬ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ মনোনীত শ্রীকান্ত দাস ৩৯৩৮ পেয়েছেন ভোট।পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবায়দুল ইসলাম রুহেল।তিনি পেয়েছেন ৪৭৫৬ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পেয়েছেন ৩০৮৮ ভোট।এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কাদির পেয়েছেন ১৫৪১ ভোট।
ভোট শেষে জায়ফর নগর ইউনিয়নের জায়ফর নগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী আব্দুল খালিকের লোকজন ভোট ভূল গণণা হয়েছে দাবি করে নির্বাচনী ব্যালট পেপারের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন।পরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ঘটে।পরবর্তীতে কুলাউড়া -বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিকসিংহ নামক স্থানে তারা সড়ক অবরোধ করে আগুন জালিয়ে দেয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে।