গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ: হাকালুকির কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম থেকে অবৈধ জাল জব্দ,জরিমানা আদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৭:২২,অপরাহ্ন ২৩ অক্টোবর ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:: হাকালুকি হাওরের কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম বিল থেকে ইজারা নেয়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ লুটের সত্যতা পেল প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে এ বিলে অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার দেড় হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মাছ লুটেরা বাহিনীর ভাড়াটে জেলেরা পালিয়ে গেলেও সায়দুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরে ‘হাকালুকির কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম : ইজারা নেয়ার ভুয়া খবরে মাছ লুট ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুসরাত লায়লা নুরী। এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, জলজ উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র রক্ষায় ২০১১ সালের ২৯ মার্চ হাকালুকির কৈয়ারকোনা বিলের ইজারা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় তা স্থগিত করে বিলটিকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়। বিলটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব দেয়া হয় হাল্ল¬া ভিসিজি (ভিলেজ কনজারভেটিভ গ্র“প) নামে একটি সমবায় সমিতিকে। গত ২-৩ মাস ধরে রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি উক্ত অভয়াশ্রমটি ইজারা নিয়েছে বলে এলাকায় প্রচারণা চালায়। প্রতিদিন অবৈধ কাপড়ি জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়েও কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম বিলে বিভিন্ন জেলে গ্র“পকে অবৈধ কাপড়ি জাল, নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। তখন জেলেরা জানায় রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি বিলটি ইজারা নিয়েছে। ওই সমিতির নেতৃস্থানীয়রাই তাদেরকে দিয়ে মাছ ধরাচ্ছে। কিন্তু মৎস্য ও ভুমি প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিলটি ইজারা দেয়া হয়নি, অভয়াশ্রম হিসেবেই বিদ্যমান। প্রভাবশালীরা ইজারা নেয়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে মাছ লুট করছিল।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান বুধবার সন্ধ্যায় জানান, কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম বিল থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুসরাত লায়লা নুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এসময় প্রায় দেড় হাজার মিটার অবৈধ বাধজাল ও নেট জাল জব্দ করা হয়। মাছ ধরায় নিয়োজিত ১০-১৫ জন জেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একজনকে আটক করে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।