বড়লেখার ফকিরবাজার মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করলেন আদালত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১২:৪৬,অপরাহ্ন ২১ অক্টোবর ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বড়লেখার ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ কার্যক্রম অবশেষে বাতিল করেছেন আদালত। সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল করিমের আবেদন গায়েব করায় তিনি মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতে ২০১৭ সালের ২ আগস্ট স্বত্ব মামলা (স্বত্ব মামলা নং-২৫৯/১৭) দায়ের করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ সহকারী জজ মো. রিয়াজুল কাউসার উক্ত নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের ডিক্রী প্রদান করেন। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও বিবাদী শামীম আহমদ পছন্দের এক প্রার্থীকে সুপার নিয়োগ দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সবুর অবসরে যাওয়ায় ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপারের পদ শূন্য হয়। এরপর ৪-৫ বার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সুপার পদটি পূরণ করা হয়নি। ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর সুপার ও নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ বোর্ড সুপার পদে মো. আব্দুল মোহিম ও নি¤œমান সহকারী পদে জাহেদ হোসেনকে নির্বাচিত করে। কিন্তু পছন্দের এক প্রার্থীকে সুপার পদে নিয়োগ দিতে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি এ নিয়োগ বাতিল করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে অনেকের সাথে সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল করিম যথাযথভাবে আবেদন করেন। কিন্তু পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বাছাইয়ের আগেই তার আবেদনপত্র গায়েব করে নিয়োগের কার্যক্রম চালিয়ে যান মাদ্রাসা সভাপতি।
সুপার প্রার্থী আব্দুল করিম জানান, ডাকযোগে আবেদন পাঠিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও সংগ্রহ করেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার আবেদন গায়েব করা হয়। এজন্য তিনি গত ২০১৭ সালের ২ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের জন্য স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ আড়াই বছর মামলা চালিয়ে অবশেষে তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন।
স্বত্ব মামলার বাদীর কৌশলী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হাসনাত আদালত কর্তৃক নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের ডিক্রী জারির সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতে বাদী প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি শামীম আহমদ নিয়োগ কার্যক্রমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন।