বড়লেখায় কয়েকশ’ বছরের পুরনো কবরস্থানের ভূমির মালিকানা দাবী নিয়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩০:৩৩,অপরাহ্ন ২১ অক্টোবর ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বড়লেখায় কয়েকশ’ বছরের পুরনো কবরস্থানের ভুমির মালিকানা দাবী নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর জের ধরে যে কোন সময় উত্তেজনা সৃষ্টি ও সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দরগা বাজারের দরগাহ মোকামের আয়তন প্রায় সাড়ে ৪ একর। এখানে ছয়-সাতশ’ বছর ধরে বালিচর, মুড়িরগুল, অজমির ও ভোলাডহর গ্রামের মুসলিম জনসাধারণ স্বজনদের মৃতদেহ সমাহিত করে আসছেন। এর পুর্বসংলগ্নে ১৭ শতাংশ কবরস্থান শ্রেণীর ভুমিও একইভাবে গোরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ১৭-১৮ দিন পূর্বে ভোলাডহর গ্রামের হিফজুর রহমান ও তার ছেলে আব্দুল হাকিম গংরা উক্ত ভুমির পুরাতন গাছপালা কর্তন ও মাটি কেটে প্রাচীন কবর ভরাটের কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা দেন।
সরেজমিনে গেলে ভোলাডহর গ্রামের প্রবীন মুরব্বি মো. আব্দুর রহিম (৭৩), আব্দুল গনি (৮৭) আহমদ আলী (৬৫), ইরাজ আলী (৬০), আব্দুল আজিজ (৬৩) প্রমুখ জানান, কথিত আছে ১৩০০ সালের দিকে হযরত শাহজালাল (রা.) একবার এ স্থানে আগমন করেন। এরপর থেকে স্থানটি দরগাহ মোকাম হিসেবে পরিচিত। ৫-৬ গ্রামের মুসলিম জনসাধারণ শত শত বছর ধরে এখানে তাদের ন্বজনদের লাশ দাফন করে আসছেন। পূর্ব পার্শের ১৭ শতাংশ কবরস্থান শ্রেণীর ভুমিতেও তাদের পুর্ব পুরুষের অসংখ্য করব রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ হিফজুর রহমান ও তার ছেলেরা কবরস্থানের পুরনো গাছপালা কর্তন ও মাটি কেটে প্রাচীন কবর ভরাট করতে থাকলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা দেন। এখন শুনা যাচ্ছে তারা নাকি আবার গোরস্থান দখলে নামবে। কবরস্থানের ভুমি দখলের চেষ্ঠা চালালে গ্রামবাসী যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত কববে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল হান্নান মৌলভীবাজার জজ আদালতে স্বত্ব (আপিল) মামলা করেছেন।
এব্যাপারে হিফজুর রহমানের ছেলে আব্দুল হাকিম জানান, ১৯৮২ সালে জনৈক সামছুল ইসলাম চৌধুরীর নিকট থেকে তার বাবা বসতবাড়ির ভুমির সাথে উক্ত ভুমিও ক্রয় করেন। কাগজে উক্ত ভুমির শ্রেণী কবরস্থান হলেও একসময় তা লায়েক পতিত ছিল। ক্রয় সুত্রে মালিক হওয়ায় তারা কবরস্থানটি নিজেদের আয়ত্বে নিতে চাচ্ছেন।