জুড়ীতে পোল্ট্রি খামার অপসারণের ষড়যন্ত্র : বাধা সৃষ্টি না করতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে খামারির মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৩:০৩,অপরাহ্ন ১৯ অক্টোবর ২০১৯
জানা গেছে, উপজেলার আমতৈল গ্রামের দীনবন্ধু সেন ২০১৬ সালে জুড়ী কৃষি ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা লোন ও ধারদেনা করে আরো ২০ লাখ টাকাসহ মোট ৪০ লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে আড়াই হাজার মোরগির লেয়ার পোল্ট্রি খামার স্থাপন করেন। ২০১৬ সাল থেকে ১৭ সাল অবদি মোরগির ডিমের বাজারে ধ্বস নামায় লাভের মুখ দেখেননি দীনবন্ধু সেন। লোকসান গুনতে গুনতে সব পুঁিজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান দীনবন্ধু সেন। তার মত উপজেলার অনেক খামারি লোকশানের কারনে ব্যবসা ছেড়ে দেন। কিন্তু দীনবন্ধু সেন হাল ছাড়েননি। ২০১৮ সালে জুড়ী বাজারের ডিলার বাহার মিয়ার কাছ থেকে বাকিতে মোরগির বাচ্চা, খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম নিয়ে আবার খামার শুরু করেন। মোরগির বাচ্চা ৬ মাস লালন পালনের পর ডিম আসতে শুরু করে। ডিমের বাজার ভাল থাকায় যখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন ঠিক তখনই দীনবন্ধু সেনের খামার বন্ধে উঠেপড়ে লাগে স্থানীয় আব্দুল মতিন, মইন উদ্দিন ও রাধাকান্ত দাশ। নানা খোড়া অজুহাতে তারা খামারটি বন্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিতে থাকে। এতে খামার মালিক দীনবন্ধু সেন বিপাকে পড়েন। খামারটি রক্ষায় তিনি সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা ও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু এরপরও কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র থামেনি। তারা প্রশাসনকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে খামার অপসারণের তৎপরতা চালায়। অবশেষে খামারি দীনবন্ধু সেন গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেআইনিভাবে পোল্ট্রি খামার অপসারণ, বেদখল ও শান্তিপুর্ণ ভোগ দখলে বাধা-বিঘœ সৃষ্টি না করতে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল মতিন, মইন উদ্দিন ও রাধাকান্ত দাশের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতে মামলা (মামলা নং-১৪০/২০১৯ইং) করেন।
‘বন্ধু পৌল্ট্রি’ ফার্মের স্বত্তাধিকারী দীনবন্ধু সেন জানান, সম্পুর্ণ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এ লোকগুলো আমার মৌরসি ভুমিতে ব্যাংক লোন ও ধারদেনায় গড়ে তোলা মোরগের খামারটি অপসারণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতের ১৪০/২০১৯ইং নং মামলার বাদি দীনবন্ধু সেনের কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. সাজু পোল্ট্রি ফার্ম রক্ষায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন।