কুলাউড়ার ইসমত হত্যায় ৫ অভিযুক্তের দায় স্বীকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৫:২৮,অপরাহ্ন ১৭ অক্টোবর ২০১৯
বড়লেখার ডাক ডেস্ক :: কুলাউড়ার উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইছহাক আলীর ছেলে ইসমত হত্যার দায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত ৫ আসামী।
বুধাবর (১৬ অক্টাবর) বিকেলে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে মোহাম্মদ দাউদ হাসানের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দিতে ৩ মহিলা ও ২পুরুষ ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে আদালতকে। এর আগে মঙ্গলবার ইসমত হত্যার সঙ্গে জড়িত গারো ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের ৫ জনকে আটক করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
তারা হলেন ডাইব্বার স্ত্রী প্রনলা (৪০), সামির মানকিনের স্ত্রী আশা হাকিডক (২২), জাহিদের স্ত্রী রিয়া রিচিল (২২), প্লরেনের ছেলে সনি পলেন ওরফে জুয়েল (২৫), পলমান্ডার ছেলে সজিব (২৭)।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত যুবক ইসমত (২৫) মদ খেয়ে প্রতিদিন খাসিয়া ও গারো সম্প্রদায়ের লোকজনকে গালাগালি ও মারধর করতো। ঘটনার দিন ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ইসমত একই ঘটনা ঘটালে ফেরদৌস আহমদের হুকুমে ডাইব্বার স্ত্রী প্রনলা শক্ত কিছু দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে একে একে বেশ কয়েকজন নারী পুরুষ ইসমতকে আঘাত করে হত্যার পর লাশ গহীন জঙ্গলে নিয়ে পুঁতে দেয়।
কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৫ অভিযুক্ত। পরে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) নিহতের আপন ছোট ভাই মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত ইসমত উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইছহাক আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত ইসমত আলীর সাথে আসকরাবাদ গ্রামের ফেরদৌস আহমদ ও লম্বাছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খাসিয়াদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। ফেরদৌস পার্শ্ববর্তি লম্বছড়া পান পুঞ্জিতে পাহাড়াদার হিসেবে চাকরি করতো। এক পর্যায়ে ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে নিহত ইসমত আলী লম্বাছড়া পুঞ্জির প্রনলার বাড়িতে যায়। এসময় আশা হাকিডক, রিয়া রিচিল, জুয়েল ওরফে সনি পলেন, জরিনা, রুপিয়া, নির্মলাসহ কয়েকজন লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করলে এক পর্যায়ে ইসমত মারা যায়। পরে প্রনলার ঘরের লাকড়ির উপর ইসমতকে বেধে পার্শ্ববর্তি পুটিছড়া পুঞ্জির ছড়ার পাশে মাটির নিচে পুঁতে রেখে দেয়। নানা গোয়েন্দা তৎপরতায় পুলিশ জঙ্গল থেকে রাত ৪টায় লাশ উদ্ধার করে।
সৌজন্য :: পাতাকুঁড়ির দেশ।