বড়লেখায় থানার ওসির হস্তক্ষেপে ৩ পরিবারের ভোগান্তির অবসান
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪০:২৭,অপরাহ্ন ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আব্দুর রব, বড়লেখা :: বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির বুড়ারগুল গ্রামের ৩টি পরিবার প্রায় দেড়মাস ধরে কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। প্রতিবেশী নুর উদ্দিন বাড়ির সামনের পানি নিষ্কাষনের নালা ভরাট করায় এ ভোগান্তির সৃষ্ঠি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্যরা ব্যর্থ হলে অবশেষে থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হকের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগী পরিবাবগুলোর দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রামের আব্দুল হামিদ, সুফিয়ান আহমদ ও বদরুল ইসলামের বাড়ির বৃষ্ঠির পানি সামনের নিচু স্থান দিয়ে দক্ষিণ পাশের টাইয়া ছড়ায় নিষ্কাষিত হতো। কিন্তু তাদের বাড়ির দক্ষিণাংশের প্রতিবেশী নুর উদ্দিন গংরা রাস্তার পাশের নিচু অংশ ভরাট করায় আব্দুল হামিদ গংদের বাড়ির পানি নিষ্কাষনের পথ বন্ধ হয়ে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে তাদের বাড়ি-ঘরে নোংরা পানি ঢুকার এবং কাচা দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নুর উদ্দিন গংদের অনুরোধ স্বত্তে¡ও তারা কর্ণপাত করেনি। পানি নিষ্কাষনের পথ খুলে না দেয়ায় প্রায় দেড়মাস ধরে আবদ্ধ পচা পানি ডিঙিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীসহ সদস্যরা যাতায়াত করতে থাকেন। গ্রামের মুরব্বি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিগণ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। গত ২৮ আগস্ট বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত নুর উদ্দিন গংদের পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে দিতে কড়া নির্দেশ দেন। অবশেষে গত বুধবার নুর উদ্দিনের ভরাট করা মাটি সরিয়ে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করায় ৩ পরিবারের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আহমদ খান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য তিনিসহ গ্রামের মুরব্বিরা একাধিকবার নুর উদ্দিনকে সালিশ বৈঠকে ডাকলেও কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি। অবশেষে ওসি সাহেবের হস্তক্ষেপে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার নিরসন হয়েছে।
থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারগুলোর মধ্যে সমস্যা চলছিল। ২/৩ মাস ধরে এ বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। নুর উদ্দিন রাস্তার পাশের নালা ভরাট করলে আব্দুল হামিদ গংরা তীব্র জলাবদ্ধতার শিকার হন। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে নুর উদ্দিনের অসহযোগীতায় তা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে এলকায় উত্তেজনা দেখা দিলে ২৮ আগস্ট তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাস্তার পাশের ভরাট করা মাটি সরিয়ে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করতে নুর উদ্দিনকে নির্দেশ দেন। তিনি নানা টালবাবাহানা করলেও শেষ পর্যন্ত আর বিঘœ ঘটাননি। বর্তমানে উভয় পরিবারের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজ করছে।