বড়লেখায় নিয়োগ পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১২:৪৩,অপরাহ্ন ৩০ আগস্ট ২০১৯
বিশেষ প্রতিনিধি ::
বড়লেখার মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রধান শিক্ষক মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আহাদ। জাল অনাপত্তিপত্রে প্রধান শিক্ষকের পদ ভাগিয়ে নেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ায় তার নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেন বিয়ানীবাজারের ঘুঙ্গাদিয়া-বড়দেশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাহাব উদ্দিন। চুড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে কাগজপত্র যাচাইয়ে দেখা যায় আবেদনের সাথে সংযুক্ত ঘুঙ্গাদিয়া-বড়দেশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দেয়া অনাপত্তিপত্রে সভাপতির স্বাক্ষর ৭মার্চ আর অনাপত্তিপত্রটির ফটোকপি সত্যায়িত করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবুল মনসুর আফজাল তারও দুই দিন আগে ৫ মার্চ। এছাড়া ঘুঙ্গাদিয়া-বড়দেশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হুমায়ুন কবির ২২ ফেব্র“য়ারী থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদিআরব অবস্থান স্বত্তেও ৭ মার্চ অনাপত্তিপত্রে কিভাবে স্বাক্ষর করলেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অনাপত্তিপত্রের মুল কপির স্বাক্ষরের দুইদিন পূর্বে ফটোকপি সত্যায়িত ও সভাপতি বিদেশে অবস্থানকালিন স্বাক্ষরের বিষয়টি উঠে আসলে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষকবৃন্দ ও নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। জালিয়াতির ঘটনা স্পষ্ট হওয়ায় প্রধান শিক্ষক প্রার্থী সাহাব উদ্দিনের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নিয়োগ পরীক্ষায় মনোনিত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দিন জাল-জালিয়াতির অভিযোগ পাশ কাটিয়ে জানান, তিনি প্রথম হওয়া স্বত্তেও তাকে নিয়োগ না দেয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তবে গত ১৮ আগস্ট তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল আহাদ জানান, নিয়োগ অনুমোদনের পূর্বে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারেন সাহাব উদ্দিনের স্কুলের সভাপতি হুমায়ুন কবির অনাপত্তিপত্রে স্বাক্ষর করেননি। তিনি নিজেই জাল কাগজ তৈরী করে জমা দেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় তাকে নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।