বড়লেখায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৪:৪৩,অপরাহ্ন ১২ আগস্ট ২০১৯
নিউজ ডেস্ক : : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজারে শনিবারে সংঘটিত দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নামউল্লেখিত ৫০ জন ও অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি রবিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন ।
এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাসেরবাজার ইউপির সুড়িকান্দি গ্রামের আব্দুল করিম ও লঘাটি গ্রামের মান্না মিয়ার মধ্যকার পূর্ববিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে শনিবার সকালে স্থানীয় বাজারের সবজি শেডে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিচারের শুনানীকালে বাদী ও বিবাদী পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে মারাত্মক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষ বৈঠক থেকে বেরিয়ে গ্রামের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসী নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সকাল এগারোটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম মেইন রোডে উভয় পক্ষ অবস্থান করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এতে সুড়িকান্দি গ্রামের সুমন আহমদ, রাফি আহমদ, মেহরাজ মিয়া, ইউপি মেম্বার সাইদুর রহমান এবং লঘাটি গ্রামের ফখরুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান, বাদই মিয়া, আব্দুল আহাদ, ছাদিকুর রহমান, তিয়াম আহমদ চৌধুরী, নুরই মিয়া, রফিক উদ্দিন আহত হন।
এসময় পুলিশের এসআই সুব্রত কুমার দাস ও কনস্টেবল তোহেল মিয়া এবং মারামারি থামানোর মধ্যস্থতাকারী সোলেমান মিয়াও আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালিন একপক্ষ অন্য পক্ষের দোকানপাটে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক ও শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
এসময় পুলিশ ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।