বড়লেখায় শহীদ মিনার ভেঙ্গে টয়লেটের ট্যাংকি নির্মাণ:দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিলেন ইউএনও
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০২:০৬,অপরাহ্ন ১৭ জুন ২০১৯
শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে এভাবে শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিলে এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার(১৭,জুন) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ নির্দেশ দেন ইউএনও। এসময় তিনি শহীদ মিনারের ভেঙ্গেফেলা অংশে টাইলস লাগিয়ে পুনরায় মেরামত করাসহ টয়লেটের ট্যাংকি নির্মানাধীন একাডেমিক ভবণের পেছনে সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাঠের উত্তর দিকে ভাষা দিবসসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেন। প্রায় ১৮ বছর ধরে এ শহীদ মিনারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবসে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছেন। এদিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ স্কুলের ৪ তলা ভিতের প্রথম তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশের কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে এ ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেছেন। রমজান মাসের ছুটি চলাকালীন শৌচাগারের ট্যাংক নির্মাণ করায় বিষয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর নজরে আসেনি। শনিবার স্কুল খোলার পর শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণের ঘটনা নজরে এলে বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করতে থাকে।বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখির ফলে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহ কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান। শহীদ মিনারের ভেঙ্গেফেলা অংশে টাইলস লাগিয়ে মেরামত করাসহ টয়লেটের ট্যাংকি নির্মানাধীন একাডেমিক ভবণের পেছনে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ উবায়েদ উল্লাহ খান,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।