রিমান্ডে বেরিয়ে এলো আইনজীবি আবিদা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৪:০৭,অপরাহ্ন ০২ জুন ২০১৯
নিউজ ডেস্কঃ বড়লেখায় নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মসজিদের ইমাম তানভীর আলম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।১০ দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিনেই হত্যার ব্যাপারে পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন প্রধান আসামী তানভীর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে মৌলভীবাজার জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
আসামী তানভীর জবানবন্দিতে বলেন, ‘ঘটনার দিন আইনজীবী আবিদা সুলতানার সঙ্গে বাসা ভাড়া ও পৈতৃক বাড়ির গাছ বিক্রি নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আবিদা সুলতানা খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে আমার দাড়ি ও লুঙ্গি ধরে টান দে।
এতে রাগের মাথায় পানির ফিল্টারের ঢাকনা (সিরামিকের) দিয়ে সজোরে আবিদার মাথায় আঘাত করি। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে অনেকক্ষণ দু’জনের ধস্তাধস্তি হয়। চরম উত্তেজনায় গলায় ও মাথায় কাপড় প্যাঁচিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেই। তার মৃত্যু ঘটায় বাসায় তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।’
২৬ মে বড়লেখার পৈতৃক বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মৌলভীবাজার জেলা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা। তিনি উপজেলার কাঁঠালতলীর মাধবগুল গ্রামের মৃত হাজী আবদুল কাইয়ুমের বড় মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পরই ওই বাসার অপরাংশের ভাড়াটিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আলম (৩৪) বাসায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার স্ত্রী হালিমা সাদিয়া (২৮) ও মা নেহার বেগমকে (৫৫) আটক করেছিল।
আইনজীবী আবিদা সুলতানা খুনের ঘটনায় তার স্বামী মো. শরিফুল ইসলাম বসুমিয়া ইমাম তানভীর আলম, তার ছোট ভাই আফছার আলম, স্ত্রী হালিমা সাদিয়া ও মা নেহার বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আসামি তানভীর আলম, তার স্ত্রী হালিমা সাদিয়া ও মা নেহার বেগমকে ২৮ মে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। আদালত তানভীরের ১০ দিনের এবং তার স্ত্রী ও মায়ের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান আসামি তানভীর আলম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাৎক্ষণিক উত্তেজনাবশতই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। রিমান্ডে থাকা অপর দুই আসামিকেও শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামি আফছার আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।