ওসমানী হাসপাতালে ডাক্তারের চেয়ে দালাল বেশি:হয়রানির শিকার রোগীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫০:৫৮,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০১৯
শিকার হচ্ছেন রোগীসাধারণ।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। দরপত্র আহবানের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি নামমাত্র বেতনে এসব নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করে। চার লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে দুই বছরের জন্য একেকজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ পায় বলেও অভিযোগ আছে। বেতন কম হওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে চাঁদাবাজিতে। চাকরি পেতে দেয়া ঘোষের টাকা তুলতে রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠে তারা। সেবা নিতে আসা মানুষদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রত্যেক রোগীর সাথে অন্তত একজন করে স্বজন থাকেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে রোগীর স্বজনকে হাসপাতালের বাইরে যেতে হয়। কিন্তু পুনরায় হাসপাতালে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীকে দিতে হয় টাকা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রবেশপথে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ২০ থেকে ৫০ টাকা করে প্রত্যেকের কাছ থেকে আদায় করে। টাকা না দিলে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। এছাড়া হাসপাতালে রোগীকে দেখতে আসা তার স্বজনরাও নিরাপত্তারক্ষীদের টাকা দেয়া ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন না। এছাড়া হাসপাতালে দালালচক্রের কারণেও হয়রানির শিকার হয় রোগী ও তাদের স্বজনরা। শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের দালাল, এমনকি কতিপয় বেসরকারি ক্লিনিকের দালালরাও ওসমানী হাসপাতালে ঘুর ঘুর করে। নিজেদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর পরীক্ষা করাতে কিংবা অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে টানাটানি শুরু করে এসব দালালচক্র। ক্লিনিকের দালালচক্র ওসমানীতে ভর্তি হওয়ার রোগীদের আরো উন্নত সেবার লোভ দেখিয়ে বাগিয়ে নিতে তৎপর।