চিকিৎসকের অবহেলায় ওয়েসিস হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১৪:২৮,অপরাহ্ন ১৭ এপ্রিল ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: সিলেট নগরীর ওয়েসিস হাসপাতালের এন সিসিইউতে এক নবজাতকের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের ৮ম তলায় সিসিইউতে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। এদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করছে মৃত ঐ নবজাতকের পরিবার।
নবজাতকের পিতা অজিত লস্কর জানিয়েছেন, গত শে ২৪ মার্চ সাত মাসের অন্ত:স্বত্বা নিজ স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এক পুত্র সন্তান লাভ করেন অজিত লস্কর। চিকিৎসা শেষে নবজাতক সাথে নিয়ে নিজ বাড়ি জকিগঞ্জের আটগ্রামে চলে যান।
বাড়ি যাওয়া পরবর্তীতে বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে অজিত লস্কর নবজাতককে আবারো পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সিসিইউ না থাকায় পার্কভিউ কতৃপর্ক্ষ নবজাতকের পিতাকে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ১০ এপ্রিল ওয়েসিস হাসপাতালের ৮ম তলায় সিসিইউতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাকারিয়ার তত্বাবধানে চিকিৎসা চলে নবজাতকের।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবজাতকের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ্য এবং এখন থেকে নিশ্চিন্তে কেবিনে থাকতে পারেন বলে অভয় দেন। বেলা ১ টার দিকে আবারো নবজাতকের সমস্যা দেখা দিলে অজিত লস্কর হাসপাতালের মাধ্যমে ডা. জাকারিয়াকে ফোন দিয়ে নবজাতককে দেখার অনুনয় করেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে একাধিকবার ডা. জাকারিয়াকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি নবজাতক দেখতে আসেননি এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা.তাপস দেব রাহুল।
ডাক্তারের অবহেলাকে দায়ী করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অজিত লস্কর বলেন, শুধুমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অযত্ন, ডাক্তারের অসহযোগীতার কারণে বিকেল সাড়ে ৫টায় আমার সন্তানকে চিরদিনের জন্য চলে গেছে না ফেরার দেশে। এদিকে, ডাক্তারি অবহেলায় নবজাতকের প্রাণহানির ঘটনায় হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা.তাপস দেব রাহুল বলেন, বিষয়টি নি:সন্দেহে পীড়াদায়ক। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া, এ বিষয়ে নবজাতকের পরিবারের সাথেও কথা বলা হয়েছে-জানিয়ে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বিষয়টি সুন্দর সমাধানের জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।