শেষের দিকে সুনীল নারিন, মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফাইনালে ১ রানে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৫:২২,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনায় ১ রানে জয়লাভ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফাইনাল ম্যাচ আগে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশালকে ১৫১ রানের টার্গেট দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
ম্যাচের শুরুতেই টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে মুজিব উর রহমানকে লং অনে ৬ মেরে শুরু, প্রথম ওভারেই নেন ১৮ রান!
শফিকুলের দ্বিতীয় ওভারে আবার ২ ছয় ১ চারে ১৮ রান! দুই ওভারে আসে ৩৬ রান। তবে একমাত্র সুনীল নারিন ছাড়া টপ অর্ডারে আর কোন ব্যাটসম্যান গান করতে পারিনি। তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিটন দাস। সাকিব মাত্র ৪ রান দিয়ে ফেরান লিটন দাসকে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান রানাকে ৬ হাঁকিয়ে ২১ বলে দেখা পান ফিফটির। পরের বলেই সোজাসুজি উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শান্তর হাতে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নারিন ফেরার পর থেমে যায় কুমিল্লার রানের চাকা। মুজিব-ব্রাভোরা চেপে ধরে ইমরুল কায়েসের দলকে।
পরের চার ওভারে তারা মাত্র ২১ রান সংগ্রহ করে। রানআউট হয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন মাত্র ৮ রানে। ফাফ ডু প্লেসিকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি মুজিব। ব্রাভোর বাউন্সে ১২ রানে পরাস্ত হন ইমরুল। ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।
৯৫ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে বড় ধরনের চাপে পড়ে কুমিল্লা। সেখান থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন মঈন আলী ও আবু হায়দার রনি। শেষ ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মঈন আলী। ৩২ বলে ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে জোড়া উইকেট তুলে নেন শফিকুল ইসলাম। মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার দেয়া ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার মুনিম শাহারিয়ার দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা না খুলে। শহিদুল ইসলামকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন বৃত্তের ভেতরে থাকা ফাফ ডু প্লেসির হাতে।
মুনিমের বিদায়ের পর ক্রিস গেইলকে নিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সৈকত আলী। মাত্র ২৬ বলে দশটি চার ও এক ছয়ে পূর্ণ করেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫৭ রান করে ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসের হাতে তানভির ইসলামের বলে। গেইল-সৈকতের জুটি থেকে আসে ৫১ বলে ৭৪ রান।
গোটা টুর্নামেন্টে গেইল ছিলেন সাদামাটা। বয়সের ভার যে নিতে পারছিলেন না এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব সেটা ছিল স্পষ্ট। ৩১ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ৩৩ রান করে এলবিডব্লু হন স্বদেশী সুনীলের বলে।
দলীয় ১০৭ রানে গেইলের বিদায়ের পর বরিশালের দরকার ছিল ৪৫ রান। ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান ৭ বলে ৭ রান করে ক্যাচ দেন তানভির ইসলামের বলে। পয়েন্টে থাকা মোস্তাফিজ দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে চাপে ফেলেন বরিশালকে।
চাপটা আরও বেশি বেড়ে যায় দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় সোহানের রান আউট। ১৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে বিপাকে ফেলেন দলকে। তাতে পেন্ডুলামের মতো সমানতালে ম্যাচ ঝুঁকে যায় দু’দলের দিকে। এক রান পর ১৩৪ রানের মাথায় ডোয়াইন ব্রাভোকে ১ রানে এলবিডব্লু করে ফেরান সুনীল নারিন।