কুলাউড়ায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা মানসিক ভারসান্যহীন ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে দিলো পুলিশ।
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৭:০৭,অপরাহ্ন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
আজহার মুনিম শাফিন :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা মানসিক ভারসান্যহীন এক অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কুলাউড়া-জুড়ী সড়কের আছুরিঘাট-গেইট এলাকায় সড়কের পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জনতা। পরে থানা পুলিশকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুখ দিয়ে সাদা লালা গড়িয়ে পড়া অবস্থায় লোকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছে দেয় পুলিশ। লোকটি বর্তমানে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) তে কর্মরত থাকা পুলিশ সদস্য সালমান হুদা জানান,২৩ অক্টোবর সকাল ১১ ঘটিকায় তিনি সংবাদ পান কুলাউড়া থানাধীন কুলাউড়া-জুড়ী মেইন রোডের আছুরিঘাট-গেইট এলাকায় পাকা রাস্তার পাশে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩২) মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে আমি সহ আমার সহকর্মী এএসআই মোঃ মনসুর আলী সহ প্রথমে ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩২) এর চোখ বন্ধ এবং শুধুমাত্র শ্বাস প্রশ্বাস আসা যাওয়া করছে। তার মুখ দিয়ে একধরনের সাদা লালা গড়িয়ে পড়ছিল। ঘটনাস্থলটি ছিল মোটামুটি নির্জন জায়গার মত কারন আশে পাশে কোন বাড়ীঘর ছিল না।
কিন্তু উক্ত লোকটিকে রাস্তার পথচারী এবং আশপাশের কিছু কিছু লোক দেখতে পেয়েই আমাদের সংবাদ প্রদান করে। যদিও সে মানসিক ভারসাম্যহীন কিন্তু সবকিছুর পরে সেও আমাদের মতই একজন মানুষ। কিন্তু কোন লোকের মধ্যে এমন মানবিকতা কাজ করেনি যে,লোকটিকে বাঁচানোর জন্য অন্তত পার্শ্ববর্তী কোন হাসপাতালে পৌছানোর মত। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম স্যার সহ কুলাউড়া থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। এবং আমরা সবাই মিলে ঐ লোকটিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি এবং তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
পুলিশ সদস্যগণ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আশেপাশের অনেক লোক সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু একজন লোকও অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ লোকটিকে ধরে গাড়ীতে তোলার জন্য হাত বাড়ায় নি। কারন লোকটি ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন, তার শরীরের কোন কাপড় ঠিক ছিল না এবং তার মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। সকলেই তাকে ঘৃণার চোখে চেয়ে সামন থেকে সরে যায়। পুলিশ বাহিনীতে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত দেখা যায় বা শুনা যায় রাস্তার পাশে, নদীর পানিতে ভেসে ভেসে, কোন হাওরের মাঝখানে মস্তিস্ক বিকৃত অবস্থায় বা পচাগলা অবস্থায় অনেক লাশ পড়ে আছে। শুধুমাত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে ঐ অবস্থায় লাশগুলো এনে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
এই অবস্থায় দেখবেন শুধুমাত্র পুলিশ সদস্য ব্যতিত কেউ লাশের ধারেকাছেও যাবে না। কারণ উক্ত লাশগুলো মস্তিস্ক বিকৃত অবস্থায় বা পঁচাগলা লাশ। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দৈনন্দিন এরকম অনেক কার্য সম্পাদন করে। যা হয়তো বাহিরে থেকে অনেকে দেখতে বা জানতে পারে না।