আদালতে ক্ষমা চাইলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৬:৪৪,অপরাহ্ন ০১ ডিসেম্বর ২০১৯
নিউজ ডেস্ক ::
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ১ ডিসেম্বর, রবিবার হাইকোর্টের তলব আদেশে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ক্ষমা চেয়ে তিনি আদালতে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্তক থাকবো।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সারোয়ার আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার পর চার মাস পার হলেও আদেশের কপি না দেয়ার ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়।
আজ সকালে আদালতের তলব আদেশে হাজির হয়ে সারোয়ার আলম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে আর এমনটি হবে বলে জানান। একই সঙ্গে ওই রায়ের কপি দিতে বিলম্বের কারণ হিসেবে নকল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবের বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘একদিনে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে এসে রায় লিখতে হয়। ’
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে মো. সারোয়ার আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকরণ কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান। পরে ওই সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আদেশের কপি চান। কিন্তু সাজা দেওয়ার চার মাস পরও আদেশের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন।