যে ফেসবুক স্ট্যাটাসে দুই উপজেলায় তোলপাড়!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৩:২৪,অপরাহ্ন ১০ অক্টোবর ২০১৯
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলাধীন শাহবাজপুর অঞ্চলকে উপজেলায় উন্নীত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্বমূড়িয়াকে সংযুক্ত করা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক লেখালেখিতে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাজপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গত ০৭ অক্টোবর তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন। ফেসবুকে ভাইরাল এ স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো-
“অদ্য fb তে শাহবাজ পুরকে উপজেলা করার দাবী,সাথে “পূর্ব মুড়িয়াকে অন্তর্ভূক্ত করে লেখা লেখি,অন্য দিগে পূর্ব মুড়িয়াকে অন্তর্ভূক্ত না করার জন্য, পূর্ব মুড়িয়া বাসীর প্রতিবাদ সভা এবং লেখা লেখি পড়ে এবং শুনে একটি চুটকি মনে পড়লো- আগে কার বিঞ্জ মুরব্বিয়ান বিচার কার্য পরিচালনার সময় উপমা দিতেন ” চিলে পাটা নিছেগি “(মরিচ ফিসার পাটা)। কম বুদ্ধিমান লোক ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখবে।চিলে পাটা নিয়া যাইতেছে,আর বুদ্ধিমান লোক হাঁসবে।
অদ্য চিলে পাটা নিয়ে যাইতেছে,লোক জন ঘর থেকে বাহির হয়ে দৃশ্যটি দেখতেছে। এখনো সমাজে এমন লোক রয়েছেন।
আমাদের নিরাপত্ত্বার প্রয়োজনে ২০০৭ সালে মৌলভী বাজার জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়েের উপস্থিতিতে সায়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আইনসৃংখলা বিষয়ে এক সভায় শাহবাজ পুর পুলিশ স্টেশন করার দাবী, পুলিশ সুপার মহোদয়ের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আমাদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে, ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়ে, পুলিশ টিলা পরিদর্শন করেন।
কিছু দিনের মধ্যে সিলেট পুলিশ লাইন থেকে এক জন অফিসার ও এগারো জন সিপাহী শাহবাহ পুর প্রেরন করলেন। শুরু হল আমাদের যাত্রা।
এরই মধ্যে জাতিয় নির্বাচন হল,আওয়ামী লীগ সরকার গঠন হলো, বড়লেখায় আলহাজ শাহাব উদ্দিন সাহেব মাননীয় এমপি নির্বাচিত হলেন। বড়লেখায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন আসলেন,তিনির সামনে মাননীয় এমপি আলহাজ শাহাব উদ্দিন সাহেব “শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবী উপস্থাপন করেন।
কিছু দিন যাওয়ার পর বড়লেখা থানার ওসি জনাব আবুল হাসেম সাহেব জানালেন যে, শাহবাজ পুর পুলিশ টিলায় কি কি আছে, শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনে কি কি প্রয়োজন,সরজমিন তদন্ত করে পুলিশ হেডকোয়াটারে রিপোট প্রদানের পত্র এসেছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ সহ অসি মহোদয় কে নিয়ে সভায় বসলাম। অসি মহোদয় আমাদের কে পূরো বিষয়টি অবহিত করে ফরামর্শ দিলেন যে আমি যদি তদন্ত রিপোটে যদি উল্লেখ করি, সেখানে একটি অফিস ঘর ও একটি অফিসার রয়েছে,তাহা হলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পাওয়া যাবে না। অনুমতি পেতে হলে রিপোটে উল্লেখ করতে হবে- সেখানে অফিস ভবন,অফিসার ভবন, ব্রাক,অস্রাগার,মালখানা, হাজত খানা ও রান্না ঘর আছে,তাহা হলে তদন্ত কেন্দ্রের অনুমতি চলে আসবে। আমরা অসি মহোদয়কে আশ্বাস দিয়ে অনুরুধ জানালাম যে সেখাসে ব্রাক,হাজত খানা,অস্রাগার,মালখানা ও রান্না আছে বলে রিপোট দেওয়ার জন্য। অনুমতি আসার সাথে সাথে এলাকা বাসীর উদ্দোগে ভবনটি তৈরি করে দিব বলে অসি মহোদয় কে কথা দিলাম। অসি মহোদয় আমাদের কথা মত পুলিশ হেডকোয়াটারে তদন্ত রিপোট জমা দেন।
পরবর্তী এক মাসের মধ্যে “শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের” অনুমতি চলে আসে এবং এস আই বিকাশ বাবুকে দায়িত্ত্ব প্রদানের মাধ্যমে ছয় জন সিপাহী নিয়োগ প্রদান করা হল।
শুরু হলো আমাদের কমিটমেন্ট পুরনের সংগ্রাম, সভা হল,মিদ্ধান্ত হলো,আমরা সবাই ভবন নির্মানে চাঁদা দিবো এবং সংগ্রহ করবো।
প্রথম সভায় অনেক টাকা সংগ্রহ হলো,সিদ্ধান্ত হল ভবনের কাজ শুরু করার,দায়িত্ত্ব দেওয়া হল আমাকে। ভবনের কাজের উদ্ভোধনের তারিখ হল,প্রধান অতিথি হয়ে মাননীয় এমপি আলহাজ শাহাব উদ্দিন সাহেব উপস্থিত হয়ে ভবনের কাজ উদ্ভোধন করেন।
এলাকার দানশীলরা কেহ টাকা আবার কেহ সিমেণ্ট দিলেন। প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা হল,সবাই সাঁড়া দিলেন,বর্তমান চেয়ার ম্যান সাহেব আহমদ জুবায়ের লিটন সাহেব লণ্ডন থেকে এবং মরহুম মৌলানা আব্দুল হাই লণ্ডন থেকে টাকা সংগ্রহ করে পাটালেন,এ ভাবে অনেক প্রবাসী টাকা পাটালেন,ব্রীক ফিল্ডের মালিক গন পনর হাজার ইট দিলেন, কুমার শাইল গ্রাম বাসী বালি আনার সুযোগ দিলেন। এলাকার সবার সহযোগিতায় ভবন নির্মান কাজ শেষ হল।
মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ শাহাব উদ্দিন সাহেব “শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র প্রশাসনিক কাজের উদ্ভোধন করলেন।
শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হল। আজ সেই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পাঁচ জন অফিসার ও এগারো জন সিপাহী রয়েছেন। কিন্তু সেখানে সিপাহী থাকার কথা বিশ জন।
আজ আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্ম ক্ষমতা ও দক্ষতায় আজ শাহবাজ পুর শান্তির জনপদ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
মাদক শাহবাজ পুরের একটি বড় সমস্যা ছিল, কিন্তু আজ শাহবাজ পুর পুলিশ বাহিনীর কর্মদক্ষতায় সেই মাদক সমস্যা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।
তবে শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বাহিনীর বসবাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, প্রয়োজন একটি বহুথল ভবন ও অল্প সময়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ী অতি জরুরী।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আবেদন করিতেছি যে,এমপি থাকা অবস্থায় আপনার হাতে ভবনের নির্মান কাজের উদ্ভোধন এবং আপনার হাতে শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রশাসনিক কাজের উদ্ভোধন করেছেন।
আজ আপনি সরকারের একজন প্রভাব শালী পূর্ন মন্ত্রী। আমরা আশা রাখি, শাহবাজ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উল্লেখিত দুইটি দাবী আপনার হাতেই পুরন হবে।
শাহবাজ পুর থানা বা উপজেলা করার জন্য আন্দলোন করার কোন প্রয়োজন নেই। মানুষের নিরাপত্ত্বা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। অন্য দিগে উপজেলা পরিষদের দপ্তর গুলি মানুষের নিকটে আনার জন্য সরকার চিন্তা ভাবনা করিতেছে।
# অন্য জেলার কথিপয় গ্রাম এনে থানা বা উপজেলা গঠন করার উদ্দেশ্য, শাহবাজ পুর বাসীর নেই,সেখানে পূর্ব মুড়িয়া বাসী আন্দোলন, সভা সমাবেশ বা লেখা লেখী করা হাস্য কর। আমাদের রেল লাইন নির্মান হচ্ছে,রেল গাড়ী চলবে,আপনারা রেল গাড়ী ব্যবহারের জন্য আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় “আতুয়া-নয়াগ্রাম ব্রীজ নির্মান করে দিয়েছেন।
আপনারা আসবেন,রেল গাড়ী ব্যবহার করবেন, সেই দাওয়াত রহিল।