logo
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • সিলেট
    • মৌলভীবাজার
    • সুনামগঞ্জ
    • হবিগঞ্জ
  • প্রবাসের চিঠি
  • এক্সক্লুসিভ
  • মতামত
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • জীবন যাপন
  • বিনোদন
  • আরও
    • মিডিয়া
    • খোলাচিঠি
    • সাহিত্য
    • পাঠক ফোরাম
    • ফটোগ্যালারী
  • এক্সক্লুসিভ
  • সিলেট
  • পড়াশোনা
  • প্রবাসের চিঠি
  • বাংলাদেশ
  • মিডিয়া
  • আন্তর্জাতিক
  • খোলাচিঠি
  • খেলাধুলা
  • মতামত
  • সাহিত্য
  • মৌলভীবাজার
  • সুনামগঞ্জ
  • হবিগঞ্জ
  • জীবন যাপন
  • ফটোগ্যালারী
  • Terms & Conditions
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  1. প্রচ্ছদ
  2. জীবন যাপন
  3. আহা! শৈশব, ঝলমলানি শৈশব!

আহা! শৈশব, ঝলমলানি শৈশব!


প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪১:৫৩,অপরাহ্ন ১২ জুন ২০১৯

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

তাহমীদ ইশাদ রিপন :: ছোটবেলায় লাল রঙের “রাজা” কনডমকে বেলুন বানিয়ে খেলার কথা হুট করেই মনেপড়ে গেল। মুরুব্বিরা বুঝাতো, “এই বেলুনে রাতে ভুত হিসু করে ফেলে যায়, দেখোস’না কেমন ভেজা ভেজা? একেতো হিসু তার উপর ভুতের হিসু..এই বেলুন নিয়ে আর খেলা যাবেনা।

শুক্রবারে সিনেমা দেখতাম। দিন ঘুরে নতুন নিয়ম বৃহস্পতি, শনিও হত। পুরো বাড়িতে একটা সাদাকালো টিভি, ঘরভর্তি মানুষ। সাড়ে তিনটায় সিনেমা শুরু, তিনটা থেকেই জায়গা দখলের চেষ্টা। সেই সুবাদে সিনেমা শুরু হবার আগে আবহাওয়ার খবর দেখা, বৌদ্ধদের ত্রিপিটক পাঠ শোনা। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ “সিনেমা শুরু”। মনেমনে প্রার্থনা, এডব্রাইস (Advertisement বিজ্ঞাপন) যেন না আসে। কিন্তু বিজ্ঞাপন ঠিকই আসে। বড়রা বিজ্ঞাপনের ফাঁকেফাঁকে অনেক কাজ সেরে নিত। আমরা ছোটরা, আঙুল দিয়ে বিজ্ঞাপণ গুনতাম। ত্রিশটা বিজ্ঞাপণ দেখানোর পরই সিনেমা শুরু হবে ততোদিনে আমাদের মুখস্ত ছিল। রুবেল, দিতি, জসীম, সাবানা, ববিতা, রাজ্জাক ছিল সেসময়ের কাঙখিত নায়ক নায়িকা। এদের কেউ নেই মানে সিনেমা পানসে। রাজীব, রানি, শরীফ, জাম্বু ভিলেন থাকার কারণে কতো গালিই যে খেত তার হিসেব নেই। নায়ক মার খেলে আমাদের আফসোস হত, ভিলেনকে মারার সময় বলতাম, “মার..মার..”।

কোকাকোলার সাথে পাওয়া “ইও ইও” খেলনা ছিল বেশ জনপ্রিয়। হাতের মধ্যে সুতা দিয়ে পেচিয়ে চ্যাপটা আকৃতির রাউন্ড গোলকটা’কে কয়বার হাতে আপ ডাউন করাতে পারে তা নিয়ে হত প্রতিযোগিতা। বিড়িং নিয়ে খেলা হত। মেয়েরা কাপড়ের তৈরি পুতুল বানাতো, সেই পুতুলের জামা বানাতো, বিয়েও দিত অনুষ্ঠান করে। টাকাওয়ালা বাবার মেয়েরা খেলতো একটা ব্যাটারিচালিত পুতুল দিয়ে। সেই পুতুলের সুইচ অন করলেই বাজত ‘চল ছাইয়া ছাইয়া’ গান। ছেলেদের সব থেকে দামী খেলনা ছিলো রবোকোপ আর পিস্তল।

বিকেলটা ছিল ছুটোছুটির। তখন খেলতাম ইচিং বিচিং, কুতকুত, বৌছি, ফুলের টোকা, বরফ পানি, ছোঁয়াছুঁয়ি, সাতচারা, ডাংগুলি, গুল্লাছুট। খুব ছোটরা খেলার বায়না ধরলে তাদেরকে “দুধভাত” হিসেবে খেলায় নিতাম, তবুও ছোট বলে তাকে বঞ্চিত করতাম না। খেলার মাঝে যদি কারো সাথে ঝগড়া হত তাহলে কাইন আঙুলে আড়ি নিতাম, দু দিন কথা বলতাম না। তারপর আবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দুই আঙুলে ‘ ভাব’ নিতাম; এখন থেকে আবার কথা বলা যাবে। তখন আবার রক্তের বন্ধুর প্রচলন ছিল। কারও হাত কাটলে ছুটে যেতাম রক্তের দুস্ত পাতাতে। আমার কাটা আঙুলের সাথে ভাল আঙুল মিলিয়ে হতাম “রক্তের বন্ধু, কোনদিন এই বন্ধুত্ব যাবেনা”। কই গেল আমার সেই বন্ধু’গুলা?

সন্ধ্যা হলেই শুরু হত যন্ত্রণা। বই খাতা খুলে পড়তে বসো। সবার আগে পড়তাম সমাজ। বেশি বিরক্ত লাগত অংক। কি যে নল চৌবাচ্চা, ১ম পাইপ, ২য় পাইপ। মাথাটা এলোমেলো করে দিত। তখন নিয়ম করে কারেন্ট যেত, এতো চার্জার লাইট ছিলনা। মোম, হারিকেন, কূপি’ই ছিলো ভরসা। অংক করতে বিরক্তি থেকে মুক্তি পেতে দোয়া করতাম, “আল্লাহ, কারেন্ট যা”। হিসেবি মা’য়েরা কেরোসিন, মোম খুব জ্বালাত না। কারেন্ট গেলেই পড়া থেকে মুক্তি। যেই কারেন্ট যেত অমনি সবাই একসাথে চিৎকার করে বেড়িয়ে আসতাম ঘর থেকে। শুরু হয় নতুন খেলা, “লোকালুকি” (অন্ধকার থেকে লুকিয়ে থাকা একেক জনকে খুঁজে বের করা) তবে আলিফ লায়লা দেখার সময় কারেন্ট গেলে মন ভীষণ খারাপ হতো।

ঈদ আসলে আমরা ঈদ কার্ড কিনতাম। “মিষ্টি মিষ্টি হাসিতে, দাওয়াত দিলাম আসিতে”- এমন ছন্দ লিখে বন্ধু বান্ধবদের দাওয়াত দিতাম। সেই সময় সব চাইতে দামী জরি ওয়ালা ঈদ কার্ড যেটা ছিল সেটা খুললে ভেতর থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে মিউজিক বাজতো। ঈদের জামা ঈদের দিন ছাড়া কাউকে দেখাতাম না, পুরানো হয়ে যাবে ভেবে। জামা লুকিয়ে রাখা ছিল সেসময় আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

কলমের নিপ মুখে নিয়ে কামড়াতে কামড়াতে ক্লাসের সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম, এখন যদি ফ্যানটা খুলে পড়ে তাহলে সেটা কার মাথায় পড়বে ? ভাবনা শেষে দেখতাম ফ্যান ফ্যানের জাগাতে আছে, কলমের নিপটা আর কলমে লাগানো যাচ্ছেনা, কামড়ে চ্যাপটা হয়ে গেছে। পেন্সিলের মাথার রাবার খেয়ে ফেলেছি কতো হিসেব নেই। পেন্সিল কাটার হারিয়ে মরা কান্না কাঁদতাম। খেলার সময় নিয়ম ছিল, যার ব্যাট সে আগে ব্যাটিং করবে। যার র্যাকেট সে কখনো বেট্টাস হবেনা। প্রতিদিন (চমচম) কটকটি ওয়ালা আসত, সমপাপড়ি বেচতো। সেই কটকটি বা সমপাপড়ি কিনতে কোন টাকা লাগত না। পুরনো কাগজ, প্লাস্টিকের কিছু একটা দিলেই কটকটি পাওয়া যেত। তারা ডাকতোই এই বলে, “লাগবো পুরানা ভাংগাচুড়া, লোহা লক্কড়, ছিঁড়াফাঁরা জুতা দিয়া কটকটি”। আমরা এক টাকা দিয়ে বোম্বে আইসক্রিম খেতাম (দুধ মলাই) সেকারিন মিশানো। খেলেই জিভ ঠোট লাল হয়ে যেত। সেই লাল ঠোট নিয়ে আমাদের কি গর্ব, আজো চোখে ভাসে।

কী সব সোনালী দিন ছিল আমার।  কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী সময়গুলো সেই আজ আর নেই। প্রযুক্তি আমাদের কোথায় এনে দাড় করালো।

আহা! শৈশব, ঝলমলানি শৈশব।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন




জীবন যাপন এর আরও খবর
হাকালুকি হাওরে পানির হাহাকার

হাকালুকি হাওরে পানির হাহাকার

শবে বরাতে ফুপুর কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে মারা গেলেন যুবক

শবে বরাতে ফুপুর কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে মারা গেলেন যুবক

বিয়ের এক সপ্তাহের পর যুবকের মৃত্যু

বিয়ের এক সপ্তাহের পর যুবকের মৃত্যু

মৌলভীবাজারের ছেলে এএসপি মুকুলের মৃত্যু

মৌলভীবাজারের ছেলে এএসপি মুকুলের মৃত্যু

সর্বশেষ সংবাদ
মৌলভীবাজারে ২৬ মার্চ উদযাপন
মৌলভীবাজারে ২৬ মার্চ উদযাপন
একসঙ্গে ১৩ শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা
একসঙ্গে ১৩ শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা
কুলাউড়ায় চোরাই মহিষের মাংসসহ ১০জন আটক নিয়ে ধুম্রজাল
কুলাউড়ায় চোরাই মহিষের মাংসসহ ১০জন আটক নিয়ে ধুম্রজাল
মৌলভীবাজারে বিষ দিয়ে মারা হলো ১৩টি বিলুপ্তপ্রায় শকুন
মৌলভীবাজারে বিষ দিয়ে মারা হলো ১৩টি বিলুপ্তপ্রায় শকুন
জুড়ীতে এপেক্স ক্লাব অব হাকালুকি ভিউ’র ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরণ
জুড়ীতে এপেক্স ক্লাব অব হাকালুকি ভিউ’র ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরণ
জুড়ীতে কবির উদ্দিন প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন
জুড়ীতে কবির উদ্দিন প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল জুড়ীর আরও ১১৭ গৃহহীন পরিবার
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল জুড়ীর আরও ১১৭ গৃহহীন পরিবার
কুলাউড়ায় সফি আহমদ সলমান মোটর সাইকেল এন্ড ফ্রিজ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন
কুলাউড়ায় সফি আহমদ সলমান মোটর সাইকেল এন্ড ফ্রিজ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন
তিন ‘ভয়ংকর’ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে (র‍্যাব)-৯
তিন ‘ভয়ংকর’ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে (র‍্যাব)-৯
কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বাবলুর মৃত্যু
কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বাবলুর মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পাচ্ছে জুড়ীর ১৯২ টি পরিবার
প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পাচ্ছে জুড়ীর ১৯২ টি পরিবার
কুলাউড়ায় মনসুর প্রবাসী পরিষদের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
কুলাউড়ায় মনসুর প্রবাসী পরিষদের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
বৃহত্তর কুলাউড়া উপজেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন
বৃহত্তর কুলাউড়া উপজেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন
কুলাউড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রকৃতি আবগাহনে সম্পন্ন
কুলাউড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রকৃতি আবগাহনে সম্পন্ন
এক পসলা বৃষ্টি!
এক পসলা বৃষ্টি!
বাদে মনসুর প্রবাসী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আহত সুমনকে নগদ অর্থ প্রদান
বাদে মনসুর প্রবাসী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আহত সুমনকে নগদ অর্থ প্রদান
কুলাউড়ায় ইয়াবাসহ আটক
কুলাউড়ায় ইয়াবাসহ আটক
সংরক্ষিত বনে গ্যাস অনুসন্ধান…হুমকির মুখে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য
সংরক্ষিত বনে গ্যাস অনুসন্ধান…হুমকির মুখে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য
কুলাউড়ায় রমজানের আগেই ২২৫ পরিবার পেল প্রবাসীদের সহায়তা
কুলাউড়ায় রমজানের আগেই ২২৫ পরিবার পেল প্রবাসীদের সহায়তা
জানা আবশ্যক
জানা আবশ্যক




মোবাইল অ্যাপস    
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • সিলেট
  • সুনামগঞ্জ
  • মৌলভীবাজার
  • হবিগঞ্জ
  • মিডিয়া
  • খোলাচিঠি
  • প্রবাসের চিঠি
  • মতামত
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • জীবন যাপন
  • পড়াশোনা
  • খেলাধুলা
  • এক্সক্লুসিভ
  • সাহিত্য
  • ফটোগ্যালারী
  • পাঠক ফোরাম
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact Us

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জহিরুল ইসলাম
‘অ’ মিডিয়া লিমিটেড, সংবাদ ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : কুলাউড়া
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা থেকে প্রকাশিত
Email: realtimes71@gmail.com

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh

Go to top