অনুপ্রবেশ করেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৭:১৯,অপরাহ্ন ২৬ নভেম্বর ২০২২
জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা :: আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিন নির্ধারন করা হয়েছে।সম্মেলনের আগে ইচ্ছেমত প্যাডে কেন্দ্রীয় নেতা বানাচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য।পরিবারের খোজ খবর না নিয়ে,অতীতের কোন পরিচয়কে পাধান্য না দিয়ে ইচ্ছেমত এসব নেতা বানানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
গত ৩১ আগষ্ট ২০২২ তারিখের সাক্ষরিত এরকম একটি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন নূর উদ্দিন আহমদ নামের একজন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র।এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রদলের সমর্থক ছিলেন,পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগে এখন হয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক।শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাই সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।অতীতে ছাত্রলীগের রাজনীতির কোন পরিচয় না থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগে হল শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী হয়ে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানগুলোতে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতেন তিনি।এই সুবাধে হয়ে গেছেন এখন কেন্দ্রীয় নেতা।রুবেল হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।
জানা যায়,নূর হোসেনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।তার বড় ভাই সোলেমান আহমেদ মানিক শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবদল নেতা।এর আগে তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।তার আরেক ভাই মইন উদ্দিন শিবিরের নেতা।বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের পুরো পরিবার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী মুজিবুর রহমানের পক্ষে কাজ করেন।
এ রকম ভাবে ছাত্রদলের কর্মীকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা বানানোর কারনে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির কার্যক্রম।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নূর উদ্দিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ এসব ছড়াচ্ছে, আমার ভাইয়েরা কোন দল করেন না।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে ও তিনি রিসিভ করেন নি।