অধ্যক্ষ বিহীন জুড়ী কলেজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৫:৪৫,অপরাহ্ন ০৬ অক্টোবর ২০২২
জুড়ী সংবাদদাতা :: দীর্ঘদিন থেকে অধ্যক্ষ বিহীন জুড়ী উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ। প্রথম ধাপে সারা দেশে ৩০৪ টি কলেজ সরকারিকরন করা হয়,পরে তার সংখ্যা দাড়ায় ৩২০ টি। অধ্যক্ষের অবসর গ্রহণের কারনে দীর্ঘদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে এই কলেজ।সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে।লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা বান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রম।
জানা যায়,২০১৮ সালে দেশের ৩০৪ টি কলেজকে সরকারিকরন করে সরকার।এদের মধ্যে জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ একটি।২০১৭ সালের ১৭ মে তারিখে কলেজের সব স্থাবর,অস্থাবর সম্পত্তি সরকারিকরন (ডিড অব গিফট) করে দলিল করা হয়।সরকারিকরনের প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর অরুন চন্দ্র দাসের অবসরের সময় হলে ২০২০ সালের ৩০ জুন তিনি অবসরে চলে যান।
এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন উপাধ্যক্ষ ফরহাদ আহমেদ ।দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই তিনি নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সংশ্লিট মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন।কিন্তু নতুন সরকারি হওয়ার কারনে জটিলতা থাকায় প্রায় দুই বছরেও নতুন অধ্যক্ষ পায়নি কলেজ।এ কারনে কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার কারনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে।তাছাড়া কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও হচ্ছে না চাহিদামত।প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর এ কলেজে দীর্ধদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলার কারনে শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কলেজের সমাজবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান সুমিত অধিকারী বলেন,ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটি উপজেলার প্রধান উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে লেখাপড়া করতে আসে।অধ্যক্ষ না থাকার কারনে বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্তে জটিলতা দেখা দেয়।সিদ্ধান্তের কারনে বিনষ্ট হচ্ছে কলেজের পরিবেশ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ আহমেদ বলেন, বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি তিনটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।অধ্যক্ষ না থাকার কারনে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে, শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে অধ্যক্ষ প্রয়োজন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।