বড়লেখায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘাতকের আত্মহত্যা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৭:২২,অপরাহ্ন ১৯ জানুয়ারি ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক নিজে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় পুলিশ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘাতকের দা’-্এর কোপে মারাত্মক আহত একজনকে অশংকাজনক অবস্থায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) ভোরে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা পাল্লাতল চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। চা শ্রমিক নির্মল কর্মকার (৩৮) শশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়।
হত্যার শিকার চারজন হলেন নির্মলের স্ত্রী জলি ব্যানার্জি (৩১), শাশুড়ি লক্ষ্মী ব্যনার্জি (৬০) প্রতিবেশী বসন্ত ভৌমিক (৬০) বসন্তের মেয়ে শিউলি ভৌমিক (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মল প্রথমে তার স্ত্রীকে ‘খাসিয়া দা’ দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মেয়েকে বাচাঁতে শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপায়। চিৎতকার শুনে দুই প্রতিবেশী এগিয়ে এলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর পর ঘাতক নির্মল কর্মকার (৩৮) ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পিবিআই, সিআইডির, র্যাবের পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে রোববার বেলা ১টার দিকে পুলিশ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ।
নির্মল ছাড়া চারজনই পাল্লাথল চা বাগানের শ্রমিক। এঘটনায় আহত কানন বক্তাকে আংশকাজনক অবস্থায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতানে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। দেড় বছর আগে জলি ব্যনার্জিকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। সে পাল্লাতল বাগানের চা শ্রমিক না। এর আগে সে পাশ্ববর্তী আল্লাদাদ চা বাগানে ছিল।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার মূল কারণ উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।