বড়লেখায় ওরসের নামে অশ্লীল নাচগানের আসর: উচ্ছন্নে যাচ্ছে যুব সমাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫১:৫৯,অপরাহ্ন ০৮ জানুয়ারি ২০২০
মস্তফা উদ্দিন,বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামে ওরস আয়োজনের নামে বসানো হয়েছে যাত্রা, বাউল গান, অশ্লীল নৃত্যের রমরমা আসর । তিন দিন ব্যাপী এই আসরে বিশাল মাঠ জুড়ে বাধা হয়েছে প্যান্ডেল। যুবতী মেয়েদের দিয়ে ঢোল, তবলা বাজিয়ে অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গিতে চলছে নাচ গান। এদিকে ওরসের নামে এসব অসামাজিক কর্মকান্ডে বিপথগামী হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ। এ নিয়ে সচেতন অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামের মস্তফা উদ্দিনের স্ত্রী কথিত ‘‘হাজিয়া রাণী ফড়িঙ্গা পীরাণী’’ বাবা শাহা মাদার, সৈয়দ ইয়াকুব শাহা, শদাই শাহা ও বদাই শাহার নামে এই ওরসের আয়োজন করেছেন । সন্ধায় আল্লাহ ও রাসূলের নাম দিয়ে ওরস শুরু হলেও রাত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্টেজে পালাক্রমে উঠতি বয়সী সুন্দরী নারীদের আগমন ঘটে। তারা শুরুতে বিভিন্ন মারফতি ও বাউল গান গাইলেও রাত বারোটার পরেই পাল্টে যায় চিত্র। শরীর দুলিয়ে যৌন উত্তেজনামূলক নানা গান পরিবেশন করা হয়। মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আসর চলবে ৯ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত ।
সরেজমিন বুধবার রাতে বর্ণী ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামে ওরসের আসরে গিয়ে স্টেজের সম্মুখভাগজুড়ে উঠতি বয়সের যুবকদের দেখা যায়। অপরদিকে স্টেজে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নৃত্য করছে উঠতি যুবতীরা । দর্শক সারি থেকে উচ্চ আওয়াজ দিয়ে টাকার নোট উঁচু করে থাকতে দেখা যায় যুবকদের । গায়িকারা স্টেজ থেকে নেমে নেচেগেয়ে দর্শকদের মন ভোলাতে ভোলাতে টাকা গ্রহণ করেন। মূল স্টেজের একপাশে দর্শক সারিতে পুরুষ ও অন্য পাশে রয়েছেন যুবতী নারীরা। স্টেজে লাগানো ব্যানারে আয়োজক কমিটির সদস্যদের ছবিসহ নাম টানানো ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কথিত এই হাজিয়া রাণী ফড়িঙ্গা পীরাণী ওরসের নামে প্রতিবছর বাণিজ্য করে থাকেন, তার সাথে রয়েছে এরাকার প্রভাবশালী একটি মহল। ওরস প্রাঙ্গণের আশে পাশে চলে মাদকসেবীদের আনাগোনা। এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। যার জন্য এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বুধবার রাতে বলেন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। খোঁজ নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।