কানাইঘাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫২:৪৯,অপরাহ্ন ২৯ নভেম্বর ২০১৯
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি সালমান আহমদের (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার করারপর কানাইঘাট থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার নিহত সালমানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সোনারখেওড় গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র সালমান আহমদ সহ কয়েকজন বাংলাদেশের ডোনা সীমান্তের পাতিছড়া এলাকা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে ভারতের অভ্যন্তরে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সালমান আহমদ। রক্তাক্ত অবস্থায় সালমান আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার সহযোগীরা সীমান্তবর্তী মেইন পিলার ১৩৩৫/১৭ এর পাশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে সন্ধ্যার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত সালমান আহমদের লাশ তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ডোনা ৯ নম্বর গ্রামের মুতাল্লিব মিয়ার বাড়ীতে নিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে ডোনা বিজিবি ক্যাম্পের জোয়ানরা সালমানের লাশ ঘিরে রাখে।
শুক্রবার থানা পুলিশের এস.আই লিটন মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে মুতাল্লিবের বাড়িতে গিয়ে সালমানের লাশ উদ্ধার পরবর্তী সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সন্ধ্যার দিকে থানায় নিয়ে আসেন।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, বিএসএফ এর গুলিতে নিহত সালমানের লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। শনিবার তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডোনা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হারুন রশিদ বলেন, সালমান সহ তার সহযোগী কয়েকজন অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সেখান থেকে ভারতীয় গরু মহিষ আনতে গিয়ে বিএসএফ’র গুলিতে সে নিহত হয়েছে।
স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, বিএসএফ’র গুলিতে নিহত সালমান সহ আরো কয়েকজন ভারত থেকে ভাড়ায়কাটা শ্রমিক হিসেবে অবৈধ পথে গরু নিয়ে আসার জন্য সেখানে যাবার পর বিএসএফ জওয়ানরা গুলি ছুড়তে থাকে। এতে বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা যায় সালমান। গরু-মহিষ চোরাকারবারি চক্রের সদস্য সীমান্তবর্তী মিকিরপাড়া গ্রামের রফিকুল হকের পুত্র ফরিদ উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন ও নক্তিপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র সোনা মিয়া গংদের গরু আনতে গিয়েছিল নিহত সালমান সহ আরো কয়েকজন।