বড়লেখায় তরুণকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বিয়ে করলেন ৪৬ বছরের বিধবা নারী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৩:৪৭,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বড়লেখা উপজেলার অফিস বাজারের ২২ বছর বয়সী এক তরুণ ব্যবসায়ীকে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আটকিয়ে কাজী ডেকে বিয়ে করেন দুই সন্তানের জননী ৪৬ বছর বয়সী এক বিধবা নারী। পরে নানা কৌশলে ওই তরুণের ব্যবসার টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। অতঃপর দেন মোহরের টাকার জন্য এলাকাসহ থানা পুলিশে স্বামী জাবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুলিশ দিয়ে সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছেন ওই নারী। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
সরেজমিনে মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সোয়ারারতল গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে জাবের উদ্দিন (২২) স্থানীয় অফিস বাজারে মুদি দোকানদার। প্রায় ২ বছর আগে একই গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের স্ত্রী বিধবা হেনা বেগম (৪৬) মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার সুবাদে জাবের উদ্দিনের দোকানে যেতেন এবং গৃহস্থালী বিভিন্ন মালামাল কিনতেন। একসময় হেনা বেগম বাকিতেও সদাই নিতে থাকেন। একপর্যায়ে বিধবা হেনা বেগমের নিকট জাবের উদ্দিনের ৬০ হাজার টাকা পাওনা হলে হেনা দোকানে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। জাবের দীর্ঘদিন পাওনা টাকার তাগদার পর তাগদা দিতে থাকলে হেনা ও তার ভাইয়েরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে হেনা এবং তার ভাইয়েরা মিলে পাওনা টাকা নিতে তাদের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বললে জাবের সে রাতে দোকান বন্ধ করে হেনা বেগমের বাড়ীতে যায়। যাওয়া মাত্র উ্যৎ পেতে থাকা লোকজন হেনা বেগমের ঘরে ডুকে জাবেরকে আটকিয়ে রাতেই কাজী ডেকে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেন।
সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন ও ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের ৪ এপ্রির বিয়ে করার পর ব্যবসায়ী জাবের উদ্দিনের বাড়িতে হেনা বেগম ১ মাস ঘর সংসার করেন। সেখানে গিয়ে একের পর এক জাবেরের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দেনমোহরের জন্য হাটাহাটি করেন। বড়লেখা থানায়ও জাবেরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এখন জানতে পারি জাবেরসহ আরো দু’জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এব্যাপারে মামলার বাদী হেনা বেগম জানান, আমার ভাইদের পরিবারে আসার পরও জাবের এখানে এসে আমার উপর নির্যাতন চালায়। আমার গর্ভে তার সন্তানও রয়েছে। মামলায় যা হয় তা হবে।
ভুক্তভোগী জাবের উদ্দিন (২২) জানান, আমি ওই মহিলার ছেলের বয়সি। আমাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে সে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। এখন মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে আমি, আমার মা ও ভাইদের ধংস করে দিতে চাচ্ছে।