জুড়ীতে ব্যবসায়ীর গুদামে ১৬ টন সরকারি চালের বস্তা নিয়ে তোলপাড়
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫০:১১,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৯
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় জুড়ী হাজী ইনজাদ আলী মার্কেটের মেসার্স পলব খাদ্য ভান্ডারের গুদামে ব্যাপক পরিমান খাদ্য অধিদপ্তর লেখা ৩০ কেজির চাল ভর্তি বস্তার চালান ঢুকতে দেখেন স্থানীয়রা। অনেকের সন্দেহ হয় চালগুলো অতি দরিদ্রদের (ভিজিডি) মধ্যে বিক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত। কোন ডিলার হয়তো সরকারী গুদাম থেকে উত্তোলন করে চালের আড়তে বিক্রি করে দিয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসীম চন্দ্র বণিক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুন নুরকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার নির্দেশে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কীয়াম উদ্দিন পলব খাদ্য ভান্ডারের গুদামে গিয়ে খাদ্য অধিদপ্তর লেখা ৩০ কেজি ওজনের ব্যাপক সরকারী চালের বস্তা দেখতে পান। এসময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চালের বস্তাগুলো দেখতে পান। সুত্র জানিয়েছে, আড়ৎ মালিক খাদ্য কর্মকর্তাকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে বুঝ দিয়ে বিদায় করে ৩০ কেজির বস্তা ভেঙ্গে ৫০ কেজির বস্তায় বদল কওে নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসীম চন্দ্র বণিক জানান, ভিজিডির চাল পাচারের খবর পেয়েই তিনি খাদ্য কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ওই চালের আড়ৎ তলাশি করান। সেখানে ১৬ মে. টন সিদ্ধ চাল পাওয়া যায়, তবে তা জুড়ী উপজেলার কোন প্রকল্পের নয়। এছাড়া জুড়ী সরকারী খাদ্য গুদামে দীর্ঘদিন ধরে আতপ চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপরও বিষয়টি তলিয়ে দেখবেন।
মেসার্স পলব খাদ্য ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী পলব রঞ্জন কর জানান, চালগুলো জি.আর (গভমেন্ট রিলিফ)। দূর্গাপুজায় মন্ডপে বরাদ্দকৃত সরকারী চালগুলো নরসিংদির এক ব্যবসায়ী ক্রয় করে তার নিকট বিক্রি করেছেন। চালানের কাগজপত্র রয়েছে। বিষয়টি জুড়ী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার সাথে মিটমাট হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেসার্স পলব খাদ্য ভান্ডারের মালিক চালানের যে কপি দেখিয়ে চালগুলো বৈধ দাবী করছেন তা চাল পরিবহণের ভাড়ার রশিদ মাত্র। তাও জুড়ী উপজেলার কোন দোকানের নাম নেই। নেই কোন সরকারী ডিও। এরপরও ওই আড়তের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।