বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র ওষুধ সংকট : ব্যবস্থাপত্র দিয়েই রোগী বিদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৯:৫৪,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯
আব্দুর রব:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৩ মাস ধরে তীব্র ওষুধ সংকট চলছে। জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি ও পেটের অসুকের রোগীদের ব্যবস্থাপত্র প্রদানের পর ওষুধ দিতে না পারায় ডাক্তাররা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী চাহিদা অনুয়ায়ী জেলা ষ্টোর থেকে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন ও এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ৫০ শয্যার বড়লেখা সরকারী হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন উপজেলার দুরদুরান্ত থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ জন রোগী বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহের পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পান। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার ব্যবস্থাপত্র দিলেও ওষুধ সংকটের কারণে ওষুধ নেই বলে রোগীদের বিদায় করছেন। ওষুধ না পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে নানা উত্তেজনার সৃষ্টি করেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হন। প্রায় ৩ মাস ধরে হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্র পেলেও জ্বর, সর্দি-কাশি, এলার্জি ও পেটের গ্যাস সমস্যার ওষুধ পাচ্ছেন না আগত রোগীরা। এতে দরিদ্র রোগীদের বাহিরে থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ না থাকায় তারা চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালে আগত ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান (টিকেট নং-১৭০৮৮) জানান, তিনি অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। গায়ে প্রচন্ড জ্বর ও মাথা ব্যথার চিকিৎসা করতে সরকারী হাসপাতালে যান। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহের পর ডাক্তারের দেখা পান। ডাক্তার ওষুধ লিখে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বলেন, হাসপাতালে ওষুধ নেই, বাহিরে থেকে কিনে নিবেন। প্রায় ৩ মাস ধরে রোগিদের এভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছে সরকারী এ হাসপাতালটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ হোসেন জানান, প্রতি সপ্তাহে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন ও এন্টাসিড জাতীয় প্রায় ১০ হাজার ট্যাবলেটের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সে অনুযায়ী সাপ্লাই পাচ্ছেন না। চাহিদাপত্র পাঠানোর পরও এ গ্রুপের ওষুধ না পওয়ায় গত ১০ আগস্ট থেকে আগত রোগীদের এ জাতীয় ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না ।