বড়লেখায় বর্ধিত মেয়াদের ১৬ মাস পরও শেষ হয়নি অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৩:৩৩,অপরাহ্ন ২৪ অক্টোবর ২০১৯
জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বড়লেখা জনমিলন কেন্দ্রটিকে পৌরসভা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে উপজেলায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে। তখন থেকেই একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণের দাবী জোরালো হতে থাকে। অবশেষে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যবর্তী ভুমিতে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অডিটোরয়িাম নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী সফরে এসে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় ৫০ কোটি টাকার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরমধ্যে বড়লেখা অডিটোরিয়াম নির্মাণ প্রকল্পটিও অর্ন্তভুক্ত ছিল। তাঁর ভিত্তি প্রস্তরকৃত প্রত্যেকটি প্রকল্প অনেক আগেই বাস্তবায়িত হলেও আমলা তান্ত্রিক জটিলতায় বড়লেখা অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আড়াই বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘এফ.টি এন্ড জে.বি কনষ্ট্রাকশন’। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা। কিন্তু এ সময়ে মাত্র ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরো এক বছর সময় বর্ধন করে। চলিত বছরের ৩০ জুন নির্মাণ কাজের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়। কিন্তু আজও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বড়লেখা অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, বড়লেখা ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান, পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য আবু আহমদ হামিদুর রহমান শিপলু, শহীদুল আলম শিমুল, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান ফারুক, পৌর কাউন্সিলার রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও চেয়ারম্যান এম মোছাদ্দেক আহমদ মানিকও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) খোদেজা খাতুন জানান, বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলেও এখন কাজের অগ্রগতি হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই যাতে অডিটোরিয়ামটি হস্তান্তর করা যায় সে লক্ষে দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্মাণ কাজের কিছু ত্র“টি-বিচ্যুতি ইতিমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। ঠিকাদারের আরো কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। তা দ্রুত সংশোধন করতে বলা হয়েছে। তিনি পৌরমেয়র, ইউএনওসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নির্মাণ কাজ তদারকির আহবান জানান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও চেয়ারম্যান এম মোছাদ্দেক আহমদ মানিক জানান, ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজের ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ সম্পন্ন করতে পারবেন।