পাশবিক নির্যাতনে ৫ বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০০:৩৪,অপরাহ্ন ১৪ অক্টোবর ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক:: পেটে একটি নয়, বরং দুটি ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে তুহিন নামে এক শিশুকে। বর্বরতার এখানেই শেষ নয়। তার দুই কান ও যৌনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়েছে। পরে পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুর নিথর দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় কদম গাছের ডালে। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে।
আজ সোমবার সকালে পুলিশ গিয়ে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। তুহিনের বাবা আবদুল বাছির একজন কৃষক। তার মায়ের নাম মনিরা বেগম।
শিশুটির আত্মীয় ইমরান আহমেদ বলেন, আবদুল বাছিরের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এর মধ্যে তুহিন দ্বিতীয়। ঘরের দুটি কক্ষে দুই ভাই বাছির ও মছব্বির তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। গতকাল রোববার রাতে খেয়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রাত আড়াইটার দিকে বাছিরের এক ভাতিজি তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে যে তাদের ঘরের দরজা খোলা। এরপর সবাই জেগে ওঠে দেখেন তুহিন নেই।
তখন প্রতিবেশীদেরও ডেকে তোলা হয়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় গিয়ে রক্ত দেখতে পান তারা। কিছুটা সামনে গিয়ে রাস্তার পাশে কদম গাছে তুহিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বলেও জানান ইমরান আহমেদ।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।