হাকালুকির কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম ইজারা নেয়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে মাছ লুট
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৫:১৬,অপরাহ্ন ১১ অক্টোবর ২০১৯
জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, জলজ উদ্ভিদ রক্ষা এবং হাল্লা পাখি বাড়ির পাখিগুলোর অবাধ বিচরণ ও খাদ্যের সংস্থানের জন্য ২০১১ সালের ২৯ মার্চ বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কৈয়ারকোনা বিলের ইজারা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় তা স্থগিত করে সরকারিভাবে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়। বিলটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব দেয়া হয় হাল্লা ভিসিজি (ভিলেজ কনজারভেটিভ গ্রুপ) নামে একটি সমবায় সমিতিকে। গত ২-৩ মাস ধরে রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি উক্ত অভয়াশ্রমটি ইজারা নিয়েছে এলাকায় প্রচার করে প্রতিদিন অবৈধ কাপড়ি জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করছে বলে অভিযোগ উঠে।
সরেজমিনে গিয়ে কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম বিলে দুইটি জেলে গ্রুপকে অবৈধ কাপড়ি জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। জেলে ফারুক মিয়া, আতিক মিয়া, নুরু মিয়া প্রমুখ জানান, রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস বিলটি ইজারা নিয়েছেন জানিয়ে তাদেরকে দিয়ে মাছ ধরাচ্ছেন। একেকটি জেলে গ্রুপকে প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা মজুরি দেন। তারা অন্তত লাখ টাকার মাছ ধরে দেন।
রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস প্রথমে মিনিস্ট্রি থেকে ইজারা নিয়েছেন বললেও পরে জানান, আবেদন করেছেন। অবাধে মাছ লুটের কারণে তিনি কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রমটি রক্ষণাবেক্ষনের অর্ডার এনে পাহারা বসিয়েছেন। তিনি মাছ লুটের সাথে জড়িত নন বলে দাবী করেন।
হাল্লা ভিসিজি’র সভাপতি মো. সুলেমান আহমদ জানান, অভয়াশ্রম ঘোষণার পর থেকেই তার সমিতিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কৈয়ারকোনা বিলের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব প্রদান করে। অদ্যাবধি পরিবেশ অধিদপ্তরের অর্থায়নে একজন ও হাল্লা ভিসিজি’র অর্থায়নে একজনসহ মোট দুইজন পাহারাদার বিলটির পাহারায় নিয়োজিত। কিন্তু রংধনু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক বিলটি ইজারা আনার ভুয়া খবর ছড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাছ লুট করছে। এব্যাপারে অভিযোগ দেয়ার ১ মাস অতিবাহিত হলেও আজও প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, কৈয়ারকোনা অভয়াশ্রম বিলটি ইজারা প্রদানের কিংবা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নতুন করে কোন সমিতিকে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি জানা নেই। জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরিত অভিযোগটি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।