বড়লেখায় সোলার স্ট্রীটলাইট : সন্ধ্যা হলেই স্বয়ংক্রিয় আলোর ঝলক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৮:৪২,অপরাহ্ন ১০ অক্টোবর ২০১৯
তারেক মাহমুদ :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বেশকিছু জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতি। সন্ধ্যা হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠে এসব সড়কবাতি। এতে বদলে গেছে উপজেলার বিভিন্ন বাজার, রাস্তার
মোড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরুত্বপূর্ণ যায়গার রাতের চিত্র। বিদ্যুৎ চলে গেলেও এসব স্থানে এখন আর অন্ধকারাচ্ছন্নতার ভয় নেই।
বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের টিআর/ কাবিটা ২য় পর্যায়ে বরাদ্দের আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি বাজার, হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে ১৩২টি পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের পোলে ৬০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এলইডি সোলার বাতি বসানো হয়েছে। প্রতিটি স্ট্রিটলাইট স্থাপনে ব্যয় হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। ১৩২টি স্ট্রিটলাইট স্থাপনে ব্যয় হয়েছে ৭৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়াইলের কয়েকজন বাসীন্দা জানান, আগে রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকলে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হতো। এ লাইট স্থাপন করায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও আলো জ্বলে থাকে। এতে অনেক উপকার হয়েছে। তবে এলাকায় আরও বাতি স্থাপনের দাবি জানান তারা।
উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভাটাউছি গ্রামের বাসীন্দা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতা মুজিব রাজা চৌধুরী বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। আমাদের এলাকার সোনাই নদীর তীরবর্তী ভাটাউছি খেয়াঘাটে একটি সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এতে জনসাধারণের চলাচলে অনেক সুবিধা হচ্ছে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, শাহবাজপুর বাজারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ পর্যন্ত ১৯টা সোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে সাধারণ পথচারীরা গভীর রাতেও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছেন।
বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবু ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী বলেন, উপজেলার প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুতায়ন হয়ে গেছে। তাই এখন রাস্তা আলোকিত করা প্রয়োজন। আর এরই ধারাবহিকতায় বড়লেখা পৌর এলাকার জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৭টি সৌরবিদ্যুৎচালিত সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে।