বড়লেখায় দু’নলা বন্দুকসহ কথিত শিকারী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৭:৩৭,অপরাহ্ন ০৫ অক্টোবর ২০১৯
বিশেষ প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখার সীমান্ত এলাকার জঙ্গলে বৃহস্পতিবার ভোরে অবৈধ দু’নলা বন্দুক নিয়ে ঘুরার সময় বিজিবি আবুল কাসেম (৩৮) নামে এক শিকারীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে।
তবে বিজিবি’র দাবী অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চোরাকারবারীরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা চালালে তাদের ধাওয়া করা হয়। অন্যরা পালিয়ে গেলেও কাশেম অস্ত্রসহ ধরা পড়ে।
সে দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির মোহাম্মদনগর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। এব্যাপারে বিজিবি অস্ত্র ও সীমান্ত অতিক্রম চেষ্টা আইনে থানায় মামলা করেছে। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ আবুল কাশেমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিজিবি ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বোবারথল বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৭৬ এর কৃষ্ণনগর এলাকায় অবস্থান নেন।
এ সময় তারা একটি দু-নালা বন্দুকসহ ৪ ব্যক্তিকে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করতে দেখেন। বিজিবির সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে দু-নালা বন্দুকসহ (বন্দুক নম্বর-১১৯৮১৬) আবুল কাশেম ধরা পড়েন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুইটি কার্তুজ (স্টারলিং-১২ ইতালি) উদ্ধার করে বিজিবি। এসময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কাশেম অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তিনি জানান, দু’নলা বন্দুকটি আব্দুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর। প্র্য়াই অস্ত্রটি ভাড়া নিয়ে তিনিসহ অনেকে পাহাড়ে হরিণ ও বনমোরগ শিকার করেন।
ওইদিন তারা বনমোরগ শিকার করতে পাহাড়ে গিয়েছিল। তবে বিজিজিব দাবী বনমোরগ কিংবা হরিণ শিকার নয় চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবির বোবারথল বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদ বৃহস্পতিবার রাতে আবুল কাশেম ও পলাতক তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, ১১৯৮১৬ নম্বরের বন্দুকটি বড়লেখার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের নামে নিবন্ধনকৃত। অভিযোগ রয়েছে বৈধ অস্ত্রটি প্রায়ই তিনি অবৈধ কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্নজনকে ভাড়া দিয়ে থাকেন। এব্যাপারে জানতে আব্দুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে রিং বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, ‘বিজিবি অস্ত্র-কার্তুজসহ একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আটক ব্যক্তি অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে তাকেসহ ৪ জনের নামে বিজিবি মামলা দিয়েছে। অস্ত্রটি কার নামে নিবন্ধনকৃত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।#