বড়লেখায় মানসিক ভারসাম্যহীন স্বেচ্ছাশ্রমিক আব্দুল মান্নানকে বেদড়ক মারধর
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৩:১০,অপরাহ্ন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বিশেষ প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল মান্নান (৮০)। তিনি মানসিক রোগী হলেও প্রায় ২০ বছর ধরে স্বেচ্ছায় পৌরশহরে ট্রাফিক পুলিশের মতো যানজট নিরসনের কাজ করছিলেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌরশহরে এই ঘটনা ঘটে। পৌরশহরের উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সদস্য ছালেক আহমদের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ছালেক বড়লেখা পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা চালক ছালেক আহমদ শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বাজারে সবজি কিনছিলেন। এ সময় আব্দুল মান্নান তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, মান্নানকে দেখে কোনো কারণ ছাড়াই ছালেক হাসি-টাট্টা শুরু করেন। এতে আব্দুল মান্নান তার হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে ছালেকের পেছনে আঘাত করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ছালেক পাশের একটি হোটেল থেকে কাঠের টুকরো এনে মান্নানকে মারধর করেন। মান্নানের ঘাড়ে কাঠ দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এসময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ছালেককে নিবৃত্ত করেন এবং উত্তম-মাধ্যম দেন। পরে মান্নানকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মধ্যবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি সুমন আহমদ শনিবার বিকেলে জানান, ছালেক আমার সিএনজি স্ট্যাডের সদস্য। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি। সে অমানবিক কাজ করেছে। ঘটনার পর আব্দুল মান্নানকে আমরা গাড়ি দিয়ে সিলেট ওসমানিতে পাঠিয়েছি। স্থানীয়রা ছালেককেও মেরেছেন। সে পলাতক রয়েছে। তাকে পেলে পুলিশে দেবো।
বড়লেখা ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে একজন পুলিশ অফিসারকে পাঠাই। আব্দুল মান্নানকে যখন ওসমানিতে প্রেরণ করা হয় তখন আমরা বিষয়টি ডাক্তারের সাথে সমন্বয় করেছি এবং কেন তাকে মারধর করা হয়, সে বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া হচ্ছে।