জুড়ীতে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে রাস্তা, মাদ্রাসা ও মসজিদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১১:২৮,অপরাহ্ন ২২ আগস্ট ২০১৯
বিশেষ প্রতিনিধি :
জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জুড়ী নদীর ভাঙনে রাঘনা বটুলী রাস্তা বিলীন হয়ে রাঘনা বটুলী মাদ্রাসার মসজিদ ও গার্ড ওয়াল নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। রাস্তাটির একাংশ ভেঙে নদী গর্ভে যাওয়ার কারনে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙ্গনস্থলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাঘনা-বটুলি রাস্তার ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে গেলে ফুলতলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মইন উদ্দিন, মাদ্রাসার শিক্ষক নছির উদ্দিন, আমির আলী, আব্দুল মতিন মতি, ইয়াকুব আলী, ইউসুফ আলীসহ অনেকে জানান, জুড়ী নদীর ভাঙনে রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ বিলীন হয়ে যাওয়ার কারনে এলাকার যাতায়াতকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছেন। ভাঙন কবলিত স্থান দ্রুত মেরামত করা না হলে নদী তীরের দীর্ঘ রাস্তা, মাদ্রাসা মসজিদ ও মাদ্রাসার গার্ড ওয়াল সম্পুর্ন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে মুল মাদ্রাসা ভবনও হুমকির মধ্যে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ জানান, জুড়ী ভাঙ্গন থেকে রাঘনা-বটুলি রাস্তা ও মাদ্রাসার মসজিদ ও গার্ড ওয়াল রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ইতিপুর্বে কয়েক দফা আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু কোন সুফল পাননি। ইউনিয়ন ও উপজেলার বরাদ্দে মেরামত কাজ করলেও তা নদী ভেঙ্গে নিয়ে যায়। স্বল্প বরাদ্দে রাস্তা ও স্থাপনা রক্ষা করা মোটেও সম্ভব নয়।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, রাঘনা-বটুলী রাস্তাসহ জুড়ী নদীর ৫০ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ পূর্ণবাসন ও ২০ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের জন্য একটি প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাবনার অনুমোদন পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা যাবে।