বড়লেখায় ভেজালবিরোধী অভিযানে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা, ১ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৭:৫৭,অপরাহ্ন ২০ আগস্ট ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভেজাল খাদ্যপন্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বিপণনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভেজাল বিরোধী সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এতে একটি নকল ঘি কারখানা মালিককে ১ বছরের কারাদণ্ড ও একটি আবাসিক হোটেল মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অস্বাস্থ্যকর উপায়ে সরিষার তেল তৈরী এবং অনুমোদনহীন উপায়ে ঘি তৈরির জন্য একজনকে ১ লক্ষ টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ উদ্দিন।
এসময় থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আফছার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বড়লেখা পৌরশহরের মোশাহিদ আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে নকল গাওয়া ঘি, মরিচ গুড়া ও ধনিয়া গুড়ার নকল কারখানা খুলে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার মেড্ডা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫৮)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে বড়লেখার থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে নকল ঘিসহ বিভিন্ন পন্য তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এসময় কারখানা মালিক ও হোটেল মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে ইউএনও ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কারখানা মালিক আশরাফুল ইসলামকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও হোটেল মালিক আব্দুল ফাত্তাহকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
এদিকে পৃথক অভিযানে উপজেলার মাছ বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী দীপক দত্তের বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে সরিষার তেল তৈরী এবং অনুমোদনহীন উপায়ে ঘি তৈরির জন্য তাকে ১ লক্ষ টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদাণ করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ উদ্দিন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গোপনে কারখানা খুলে দেশের নামকরা কোম্পানীর লগো, স্টিকার ব্যবহার করে নকল গাওয়া ঘিসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ও হোটেল মালিককে গ্রেফতার করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত কারখানা মালিককে ১ বছরের সাজা ও হোটেল মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টার, কেমিক্যালসহ নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।