ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে মানহানি: বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৪:১৯,অপরাহ্ন ১৯ আগস্ট ২০১৯
বিশেষ প্রতিনিধি : : বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক ও বড়লেখার পানিধার গ্রামের মৃত রমা কান্ত রায়ের ছেলে রনজিৎ কুমার রায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বড়লেখার এক সহজ-সরল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও ক্ষান্ত হননি। তিনি নিজ নামীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডি (Ranjit Kumar Roy) থেকে কুরুচীপূর্ণ একাধিক ষ্ট্যাটাস পোষ্ট করে মান সম্মান ক্ষুন্ন করায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লাল মিয়া অবশেষে তার বিরুদ্ধে গত ২২ জুলাই ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুন্যাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(২), ২৮(২)২৯(১), ৩১ এর ধারায় মামলা করেছেন। লাল মিয়া বড়লেখার মুছেগুল গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর ছেলে। ২৮ জুলাই বিজ্ঞ আদালত ওসি বড়লেখা থানাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে আরো জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক রনজিৎ কুমার রায় ও তাহার পিতা রমা কান্ত রায় বিভিন্ন সময়ে দেবোত্তর (হস্তান্তর অযোগ্য) রেকর্ডিয় ভূমি বিক্রয় করেন। ক্রেতাদের বেশিরভাগই প্রবাসী। ক্রয়কৃত ভূমি নামজারী করতে গিয়েই ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। রনজিৎ কুমার রায়ের চাচা রাধা কান্ত রায় বড়লেখার ১০৪ নং জেএল যুক্ত কাঠালতলী মৌজার ৯ শতক ৪৩ পয়েন্ট ভূমির আমমোক্তার করেন আল্লাদাদ চা বাগানের বাসিন্দা আছার উদ্দিনকে। পরবর্তীতে আমমোক্তার আছার উদ্দিন রাধা কান্ত রায়ের পক্ষে লাল মিয়ার আত্মীয় শামীম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিনের কাছে ২৪ লাখ টাকায় বর্ণিত ভূমি বিক্রয় করেন। কিন্তু রনজিৎ রায় প্রবাসী শামীম, জসিম, জালাল, লাল মিয়ার বিরুদ্ধে জমিদার বাড়ি দখলের অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে রনজিৎ কুমার রায় লাল মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেন। অভিযোগ দিয়েও সুবিধা করতে না পেরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আপত্তিকর ষ্ট্যাটাস পোষ্ট করে লাল মিয়ার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেন।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক রনজিৎ কুমার রায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং একপর্যায়ে মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেন।
ঢাকা সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ রনজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুন্যাল আদালতে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ওসি বড়লেখা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, শনিবার বিকেলে পর্যন্ত এ সংক্রান্ত মামলার কোন নির্দেশনার কপি তার হাতে পৌছেনি।