বড়লেখায় রাস্তার কাজ ঝুলে থাকায় ৪ মাস ধরে জনদুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৩:০৪,অপরাহ্ন ১৭ আগস্ট ২০১৯
আব্দুর রব।।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি এলজিইডি রাস্তার পাকা-করণের কাজ মাঝপথে ঝুলিয়ে রাখায় গজভাগ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ গত ৪-৫ মাস ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নিকট বারবার ধর্না দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না।
উপজেলা এলজিইডি ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আছাদ আলীর বাড়ি হতে গজভাগ মাদ্রাসা ভায়া সমনবাগ এলজিইডি রাস্তার মাদ্রাসা হতে মনিপুরী গ্রাম পর্যন্ত ১ কি.মিটার কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে ভাঙ্গাচুরা ও খানাখন্দের কারণে প্রায় ৬ মাস আগে পাকা-করণের উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর। কাজের দায়িত্ব পেয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ৪ মাস আগে পাকা-করণের জন্য রাস্তার মাটি কেটে বক্সকাটিং করেন। কিন্তু বক্স কাটার পর কাজ বন্ধ করে দেয়ায় কাদা ও ডোবায় পরিণত হয়ে রাস্তাটি রিকশাসহ পায়ে হেটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে গজভাগ ও মনিপুরী গ্রামের প্রায় ৩ হাজার জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে স্বজনরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েন। রোগীদের কাঁদে করে প্রায় ১ কি.মিটার রাস্তার কাদা পানি মাড়িয়ে অতিক্রম করতে অনেকেই দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছেন।
সরেজমিনে গেলে, গজভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী, গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল করিম, প্রবাসী নওয়াব আলী ও স্থানীয় আল আমিন সমাজকল্যাণ সংস্থার সদস্যরা জানান, রাস্তাটি আগের অবস্থায় থাকলেও গ্রামবাসীর চলাচলে তেমন সমস্যা হতো না। কিন্তু মাটি খুড়ে ৪-৫ মাস যাবত ফেলে রাখায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছে বারবার ধর্না দিয়ে সুফল পাচ্ছেন না।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ফাতেহা ফজলে রাব্বি জানান, বক্স কাটিংয়ের পর বালু ফেলে রোলিং করলে চলাচলে তেমন সমস্যা হতো না। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য মৌখিক ও লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।