বাংলাদেশ এখন আর আগের মতো গরীব নয়-পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৫:১৫,অপরাহ্ন ০৯ আগস্ট ২০১৯
আব্দুর রব : পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর আগের মতো গরীব নয়, দেশ ক্রমশঃ উন্নত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের বসতঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। ঘরহীন মানুষের পর্যায়ক্রমে আমাদের সরকার ঘর তৈরি করে দেবে। এখন আর কেউ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি শুত্রবার সকালে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরপাড়ের হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি আরো তিনি বলেন, এই বন্যার মধ্যেও আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ মে. টন চাল বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। আ’লীগ সরকার এ যোগ্যতা অর্জন করেছে। আগে আমাদেরকে ৪০ লাখ মে. টন চাল বিদেশ থেকে ক্রয় করতে হতো। এখন আর কিনে আনতে হয় না। আমরা এখন বিদেশে চাল বিক্রি করতে পারছি।
বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও তালিমপুর ইউনিয়ন আ’লীগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণের সভায় সভাপতিত্ব করেন তালিমপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরমান আলী।
ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল খালিক বাদলের সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, প্রেসক্লাব সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, আ’লীগ নেতা সুনাম উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন, বেলাল আহমদ প্রমুখ।
মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি আরো বলেন, ‘হাকালুকি হাওর পাড়ের মানুষ হিসেবে আমরা গর্ব করি। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় হাওর। আমাদেরকেই হাওরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এ জন্য মৎস্যজীবী ও বিভিন্ন সমিতির লোকজনকে সচেতন হতে হবে। নতুন নতুন সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে। অভিযোগ আছে, বাইরের লোকজনকে ডেকে এনে তাদের কাছে সমিতি বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এতে এসব সমিতির নামে অন্যরা বিল লিজ নিচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাইরের লোকজনকে ডেকে এনে সমিতি বিক্রি করা চলবে না। নিজেদের স্বার্থে সকল সমিতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা লাভবান হবেন। বাইরের লোকজন সুবিধা নিতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে দুর্গত ২০০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল এবং ১০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিড়া ও ৫০০ গ্রামের নুডুলস প্যাকেজ বিতরণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১ হাজার ১০০ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।