ব্রিটেনে নাগরিকত্ব পেতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৭:৪৮,অপরাহ্ন ২৬ জুলাই ২০১৯
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণায় সেখানে কাগজপত্র বিহিন লক্ষাধিক বাংলাদেশীসহ প্রায় পাঁচলাখ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
বরিস জনসন বলেন, ব্রিটেনে বসবাসরত অনথিভুক্ত প্রায় পাচঁ লাখ মানুষকে এদেশ থেকে বের করে দিতে চায় সরকার। তবে তাদের বিষয়টি নতুন করে দেখা উচিত। আর এই বিষয়ে তার সরকার নীতিগতভাবে আন্তরিক বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক তার উদ্দেশে বলেন, ‘এখন তো আপনি প্রধানমন্ত্রী, এখন কি অনথিভুক্তদের সাধারণ ক্ষমা’র আওতায় এনে আপনি প্রমাণ করবেন যে আপনার কথার সঙ্গে আমা’র কাজের মিল রয়েছে।
প্রতিত্তোরে বরিস বলেন, যারা কোনও অপরাধে না জড়িয়ে বছরের পর বছর এখানে বসবাস করছেন আমার মনে হয় আইনিভাবে তারা সঠিক অবস্থানেই আছেন। আমি সরকারে থাকাবস্থায় বিষয়টি কয়েকবার উত্থাপন করেছি। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উত্থাপন করলেও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাইনি।
অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান এ মুহূর্তে ব্রিটেনের হাতে নেই। তবে ধারণা করা হয়, ৫ লাখের বেশি বৈধ অভিবাসীর পাশাপাশি সেখানে এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি রয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
২০০৯ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালে জনসন সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবে বলেছিলেন, ব্রিটেনে বসবাসকারী ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী মধ্যে যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন তাদের বৈধতা দেওয়া উচিত। এতে একদিকে শ্রমিক সংকটের সুরাহা হবে, অপরদিকে তাদের আয় থেকে সরকারি কর জমা পড়ার পরিমাণ বাড়বে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হবে।
লন্ডনের হ্যামলেটস সলিসিটরস এর সিনিয়র পার্টনার বিপ্লব কুমার পোদ্দার বলেন, কাগজপত্র ছাড়া ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য খুবই আশাজনক। এতে বছরের পর বছর ধরে এখানে বসবাসরত এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশিসহ প্রায় পাঁচলাখ অনথিভুক্ত অভিবাসী বৈধভাবে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে পারেন।