হাকালুকি হাওরে এবারো জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৯:৩৩,অপরাহ্ন ২৪ জুলাই ২০১৯
অবৈধ জালের তান্ডবে মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না..
বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে এবারো জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। প্রতি বছর কিছুনা কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও এবার বেশি পরিমাণে প্রতিদিন একেকটি জেলে গ্রুপ“পের জালে ১০-১৫ কেজি করে ইলিশ (ঝাটকা) ধরা পড়ছে। এতে জেলেদের মুখেও ফুটছে হাসির ঝিলিক। তবে ধরা পড়া ইলিশের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। তবুও জেলেরা খুশি যে, ধরাপড়া ইলিশ হাকালুকি হাওর-পারের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে পারছেন।
হাকালুকির ধলিয়া বিলের তীরবর্তী কুলাউড়া-চান্দগ্রাম সওজ রাস্তার আছুরিঘাট নামক স্থানে গত ৩-৪ দিন থেকে ধরাপড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিন আছুরিঘাটে গেলে মাছ বিক্রেতা ছিদরত আলী, মছব্বির আলী, কিরেন্দ্র নাথ, বদই মিয়া প্রমুখ জানান, হাকালুকি হাওরে যারা জাল দিয়ে মাছ শিকার করে, তাদের একেকটি গ্রুপের জালে প্রতিদিন ১০-১৫ কেজি করে ঝাটকা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। ৪-৬ টি ঝাটকা ইলিশে এক কেজি হয়। শখের বসে স্থানীয় লোকজন এসব ইলিশ কিনে নিচ্ছেন। তবে দাম খুব একটা মিলছে না। প্রতি কেজি ইলিশ সর্বোচ্চ ৩শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
কুলাউড়ার আছুরিঘাট ছাড়াও হাকালুকি হাওর থেকে ধরা পড়া ঝাটকা ইলিশ হাওর তীরের ঘাটেরবাজার, বড়লেখার আজিমগঞ্জ বাজার, কানুনগো বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, ইসলামগঞ্জ বাজার, ফকির বাজার, ইসলামপুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় প্রতি বছরই কম বেশি হাকালুকি হাওরে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। আগাম বন্যার কারণে হাকালুকি হাওরে গত ৩-৪ বছর একটু বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। আর এবার বিগত দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু হাওরের অন্যান্য পোনা মাছের সাথে ইলিশ মাছগুলোকেও বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না হাওরে অবৈধভাবে কাপড়িজাল, বেড়জাল ও নেটজাল দিয়ে মাছ শিকারি অসাধু জেলে চক্র।
কুলাউড়া উপজেলা ও বড়লেখার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, ইলিশ মূলত নোনা পানির মাছ। মিঠা পানিতে অর্থাৎ হাকালুকি হাওরে ধরা পড়া ইলিশ মাছের স্বাদ নোনা পানির ইলিশের স্বাদের মত হবে না। তাছাড়া মিঠা পানিতে ইলিশ খুব একটা বড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবার হাকালুকিতে তুলনামূলক বেশি ঝাটকা ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এতে জেলেরা অনেক খুশি।