জুড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধর: যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৮:৫৭,অপরাহ্ন ২১ জুলাই ২০১৯
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গারপার গ্রামের মো. মাসুক এর পুত্র রায়হান মোল্লা ও আলম মাধবটিলা গ্রামে সৎমা বদই বেগমের বাড়িতে থাকে। আলম বিভিন্ন জায়গায় পাকার কাজ করে। আর রায়হান মোল্লা তাবিজ ও পানি পড়া দিয়ে মানুষের চিকিৎসা করে। রায়হান বিভিন্ন বাড়িতে যাবার সময় আলমকে সাথে নিয়ে যেত। সে সুবাধে স্থানীয় বিভিন্ন মহিলার সাথে আলমের পরিচয় হয়।
শনিবার সন্ধ্যার পর আলম বোরকা পরে একই গ্রামে তার খালা আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখায়। রাত প্রায় ৯টায় স্থানীয় আনোয়ার হোসেন খানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী আলমের পূর্ব পরিচিত ও সম্পর্কিত শামীমা আক্তার লায়লা কে ডাকাডাকি করে।দরজা খুলে দিতে বোরকা পরা আলম লায়লাকে ঝাপটে ধরে মারপিট শুরু করে। লায়লার চিৎিকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে বোরকা ফেলে আলম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কন্ঠের সূত্র ধরে স্থানীয় লোকজন রোববার সকাল ৭টায় আলমকে বাড়ি থেকে ধরে এনে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে জুড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলমকে থানায় নিয়ে আসে।
লায়লার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, ২ সন্তানের জননী লায়লা ৬ মাসের গর্ভবতী। এ ঘটনায় লায়লা অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং রক্তকরণ শুরু হয়। সাথে সাথে তাকে চিকিৎসার জন্য কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে গর্ভের সন্তান মারা যেতে পারে।
আলম জুড়ী থানায় সাংবাদিকদের জানায় সে আনোয়ারা ও লায়লাকে শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্য এ কাজ করেছে। পরে নিজে ভয় পেয়ে বোরকা ফেলে পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়দের ধারণা, রায়হান মোল্লার তাবিজ, ঝাঁড়ফুকের সঙ্গী আলম ছদ্মবেশে মানুষকে ভয় দেখায়। আর লোকজন জিন-ভূত মনে করে রায়হানের কাছে চিকিৎসা নেয়।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, অপরাধ সংগঠনের সন্দেহভাজন হিসেবে আলমকে আটক করা হয়েছে।