বড়লেখায় বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় খসে পড়ছে পলেস্তরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫০:৪০,অপরাহ্ন ২১ জুলাই ২০১৯
বড়লেখা পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্রের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ সম্পন্নের ৪ দিনের মাথায় সিঁড়ির পলেস্তরা ও নেট ফিনিসিং খসে পড়ছে। স্মৃতিসৌধের মত একটি জাতীয় স্থাপনার নির্মাণ কাজ অত্যন্ত নিম্ন মানের কাজ করায় সংশ্লিষ্ট মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। জানা গেছে, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এ স্কুলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তিনি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় তাহমিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ১ মে নির্মাণ কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। নানা ত্রুটির মধ্যদিয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর গত ১৫ জুলাই শহীদ মিনারের উদ্বোধনী ফলক স্থাপন করা হয়।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহীদ মিনারের সিঁড়ির নেট ফিনিসিংসহ পলেস্তরা উঠে যাচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন নন্দী জানান, কাজের শুরুতে ঠিকাদারের মিস্ত্রীরা নি¤œমানের ইট ব্যবহার করেছে। বালুর সাথে সিমেন্টের মিশ্রণ সঠিক না হওয়ায় সিঁড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে। কাজ চলাকালিন সময়ে আপত্তি করা স্বত্ত্বেও ঠিকাদার কাজ চালিয়ে গেছেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন জানান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের নিকট বড়লেখায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনারের দাবী জানানো হয়। সকলের সম্মানে তিনি এ দাবী পূরণ করলেও নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের চরম অনিয়মের কারণে তা হতাশায় পরিণত হয়েছে। ঠিকাদার স্কুলের কারো সাথে যোগাযোগ না করেই ৪ দিন আগে ত্রুটিপূর্ন শহীদ মিনারে উদ্বোধনী ফলক লাগিয়ে দিয়েছেন। সিঁড়ির উপর হাটলেই পলেস্তরা উঠে যাচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মো. খছরুজ্জামান জানান, প্লাস্টারের পরেই বৃষ্টি হওয়ায় সিঁড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি তা মেরামত করে দিবেন। জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলে ঠিকাদারকে অবশ্যই তা সংশোধন করে দিতে হবে।