বড়লেখায় স্কুলছাত্র ওয়াহিদ অপহরণে মুক্তিপণ আদায়কারী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১২:১১,অপরাহ্ন ১৯ জুলাই ২০১৯
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির নাম কামাল মিয়া।সে কোম্পানীগঞ্জের কাকুরাইল গ্রামের মদরিছ আলীর ছেলে।
অপহরণ হওয়া আব্দুল ওয়াহিদ বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারতল এলাকার ইসলামনগর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে ও বোবারতল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
থানায় দেয়া অভিযাগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , গত ৭ জুলাই রবিবার স্কুলছাত্র আব্দুল ওয়াহিদ এক লেবু বিক্রেতার সাথে সিলেটের বিয়ানীবাজার দেখার জন্য ঘুরতে যায়।
এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও তখন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা ৯ জুলাই মঙ্গলবার বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে ১৬ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক একটার সময় ওয়াহিদের মোবাইলফোনে তার বাবা যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এই সময় মুঠোফোনে কল ধরেন মুক্তিপন আদায়কারী কামাল মিয়া। কামাল এ সময় স্কুল ছাত্রকে দিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলিয়ে দেন এবং ছেলেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এতে ওই ছাত্রের পরিবার ছেলেকে ফিরে পেতে টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়।
কামাল মিয়া তখন একটি বিকাশ নম্বর দেয় টাকা পাঠানোর জন্য। ছেলেকে ফিরে পেতে স্কুল ছাত্রের পরিবার প্রথমে দশ হাজার টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠায়।
এই বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরেই বড়লেখা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রশিদ উদ্দিন ঘোয়াইনঘাট থানায় যোগাযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাজারের লোকজনের সহায়তায় কামাল মিয়াকে আটক করা হয়। তবে স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ কামাল মিয়াকে বড়লেখা থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রের বাবা ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে অপহরণ মামলা করেছেন।
বড়লেখা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রশিদ উদ্দিন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জানান, ‘স্কুল ছাত্রের বাবা অপহরণ মামলা দিয়েছেন। ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছিল আটক হওয়া কামাল মিয়া। দশ হাজার টাকা বিকাশে গ্রহণ করে সে। টাকা গ্রহণের সূত্র ধরে তাকে ঘোয়াইনঘাট থেকে তাকে আটক করে বড়লেখায় আনা হয়। তবে এটি অপহরণ, নাকি অন্যকিছু। আসল ঘটনাটি জানার জন্য আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।