বড়লেখায় রাস্তা যেন চাষ দেয়া ধান ক্ষেত: জনদুর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৮:৩৯,অপরাহ্ন ১৪ জুলাই ২০১৯
গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাটি যেন রাস্তা নয়, এটি যেন চাষ দেয়া কোন ধানের ক্ষেত। বছরের ৬ মাস বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার কয়েকটি গ্রামের হাজার লোকজনকে কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহান।
সরেজমিনে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের মিহারী, শিলকুরা, নয়াগ্রাম ও পূর্ব শিলকুরা গ্রামের এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সানেশ্বর ও গাংকুল দাসউরা গ্রামের লোকজন শিলকুরা-মিহারী রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু এ রাস্তাটি বছরের ৬ মাস এতই কর্দমাক্ত হয়ে উঠে, রিকশা ও হালকা যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা, পায়ে হেটেও চলাচল করা কটিন হয়ে পড়ে। এ রাস্তার রমা মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন স্থান এতই খারাপ, দেখলে মনে হবে এটি যেন সদ্য চাষ দেয়া ধানের কোন জমি। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উঠা লোকজন। বিশেষ করে গর্ভবতি মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়েন তাদের স্বজনরা।
এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামা কান্ত দাস, শৈলেন্দ্র দাস, রন কান্ত দাস প্রমুখ জানান, রাস্তাটি বেহাল ছোট বাচ্চারাও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার অনরোধ করা স্বত্তেও তারা আজও কোন উন্নয়ন করেননি।
এব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সুবোধ দাস জানান, চেয়ারম্যানকে বলে গত বছর কিছু বরাদ্দ নিয়ে মাটির কাজ করিয়েছেন। গতবছর ইট সলিংয়ের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেন। মানুষের কষ্টের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এ রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষণ পাল জানান, ‘গ্রামীণ এ রাস্তাটি আইডিভুক্ত নয়। এ রাস্তাটি অনেক কর্দমাক্ত। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্যোগ নিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা যেতে পারে।’