শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি গতিতে ছুটবে চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৯:৪৩,অপরাহ্ন ০৯ জুলাই ২০১৯
বর্তমান বিশ্বের কোনো প্রতিরক্ষা প্রযু্ক্তিই এ ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে বা ধ্বংস করতে পারবে না। খুদ মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড এর কাছে ব্যর্থ হয়ে যাবে ।এমনকি রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কিংবা এস-৫০০ও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘণ্টায় ১২ হাজার কিমি. বেগে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে চীনের এ ‘মৃত্যু পরোয়ানা’। শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর অস্ত্রটির চার মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। বাণিজ্য ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ওয়াশিংটনের জন্য স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন অনেকেই।
ক্ষেপণাস্ত্রটি চীনের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়। ২০১৪ সাল থেকেই দেশটি এর পরীক্ষা করে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রথমবার তারা এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল যেটাতে ওয়েভরাইডার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নাম জিংকং-২ বা স্টারি স্কাই-২। ক্ষেপণাস্ত্রটি বর্তমান বিশ্বের যেকোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে ছুড়ে দেয়ার পরই নিজস্ব চলনশক্তি ব্যবহার করে মিসাইল থেকে পৃথক হয়ে যাবে।প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মতো ধনুকাকৃতির গতিপথের বদলের আঁকাবাঁকা গতি চলতে সক্ষম এটা।
অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ওই ডংজু বলেন, ‘ওয়েভরাইডারটির উচ্চগতি, নিচু গতিপথ ও মাঝপথে কৌশলতগত দিক বদলানোর ক্ষমতা এটাকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে অপ্রতিরোধ করে তুলেছে।’