ভূমধ্যসাগরে আবারও নৌকাডুবি : ৮০ জনের অধিক অভিবাসী নিহতের আশঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৯:১১,অপরাহ্ন ০৬ জুলাই ২০১৯
তিউনেশিয়া উপকূলে ফের অভিবাসীভর্তি এক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮০ জনের অধিক অভিবাসী ডুবে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিউনেশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ও সরকারি কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে ৮০ জনের বেশি মানুষ এ ঘটনায় ডুবে গেছেন। মাত্র চার জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে স্থানীয় জেলেদের একটি দল। তাদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা গেছেন। ইউএনএইচসিআর’র ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নিয়োজিত বিশেষ দূত ভিনসেন্ট কোচেটেল বলেন, এই অবস্থা চলতে পারে না।
অন্য কোনো উপায় থাকলে কেউ নিজের ও নিজের পরিবারের জীবন ঝুঁকিতে রেখে এই বিপজ্জনক যাত্রায় যায় না। আমাদের মানুষকে অর্থবহ বিকল্প সুযোগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যাতে তারা এই বিপজ্জনক নৌকা দিয়ে যাত্রা না করে।
উদ্ধার হওয়া চার অভিবাসীর মধ্যে কয়েকজন তিউনেশিয়ার উপকূলরক্ষীদের জানিয়েছেন, জারজিস শহরে কাছাকাছি স্থানে ডুবে যায় নৌকাটি। সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, নৌকার যাত্রীরা আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে মে মাসে ইউরোপ যাওয়ার পথে অভিবাসীভর্তি একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশিসহ অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়। লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল ইউরোপগামী অভিবাসীদের একটা প্রধান প্রস্থান কেন্দ্র। গত কয়েক বছর ধরে হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ওই উপকূল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় করে রওনা দিচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
লিবিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এসব অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখনো পাচারকারীদের সাহায্যে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রওনা দিচ্ছে অগণিত মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই যুদ্ধ, দারিদ্র্যতা, সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালানো মানুষ। প্রধানত আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকরাই এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এসব অভিবাসীদের অনেকেই আবার উদ্ধারের পর বা রওনা দেয়ার আগে সরকারি বাহিনীর হাতে আটক হয়। তাদের স্থান হয় বন্দিশিবিরে। মে মাসে সব মিলিয়ে লিবিয়ার একটি বন্দিশিবিরেই পাঠানো হয়েছে ১০৮ অভিবাসী ও শরণার্থীকে। মঙ্গলবার রাতে ওই শিবিরে এক বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন মারা গেছেন।
সৌজন্য: সুরমা নিউজ