বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে মারাত্বক জনবল সংকট: ৮ জনের স্থলে কর্মরত ১ জন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৪:২০,অপরাহ্ন ০৩ জুলাই ২০১৯
৭ বছর ধরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৩টি পদের সবক’টিই শূন্য। এতে শিক্ষা অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রমসহ উপজেলার সার্বিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখায় ১৫১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ১৫৩টি বেসরকারী (কেজি) প্রাইমারী লেভেলের স্কুল রয়েছে। ৩ শতাধিক প্রাইমারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত আছেন শুধুমাত্র উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। ৭ জন সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রত্যেক পদই গত ৬ মাস ধরে শূন্য রয়েছে।
১ জন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক এবং ৩ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের অনুমোদিত পদ থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ও ২০১৩ সাল থেকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদ শূন্য রয়েছে। ২ বছর ধরে ডেপুটেশনে একজন সহকারী শিক্ষককে দিয়ে শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটরের কাজ চালাতে গিয়ে ওই স্কুলের শ্রেণী কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষা অফিসের জনবল সংকটে অন্যান্য দাপ্তরিক কাজকর্মও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটিও’র অভাবে নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন না হওয়ায় শিক্ষকরা ঠিকমত স্কুলে যাচ্ছেন কিনা, সঠিকভাবে শ্রেণী কার্যক্রম চলছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার মান নিম্নমুখি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানান, উপজেলার স্কুলগুলো নিয়ে ৭টি ক্লাস্টার ও ৫১টি সাব-ক্লাস্টার গঠিত। প্রতি দুইমাস অন্তর প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার মিটিং ও প্রতি মাসে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু চলিত বছরের ১৯ জানুয়ারী থেকে এ অফিসে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সকল পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) সংকটে সমন্বয় সভা ও ক্লাস্টার মিটিংয়ের কাংঙ্খিত লক্ষ অর্জিত হচ্ছে না।
শিক্ষকরা সময়মত স্কুলে যাওয়া-আসা করছেন কি না তাও তদারকি সম্ভব হয় না। এছাড়া স্কুলের এক কাজের জন্য বারবার শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। যার প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিজ মিঞা বড়লেখায় সহকারী শিক্ষা কর্তকর্তাসহ জনবল সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এটিও না থাকায় স্কুল পরিদর্শন কার্যক্রম মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শূন্যপদ পুরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।