কুলাউড়ায় প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মাদরাসা ছাত্রীকে প্রকাশ্যে কুপালো বখাটে
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩২:৩৮,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০১৯
গুরুতর আহত হাজেরা বেগম বর্তমানে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এদিকে খবর পেয়ে ৩০ জুন রাতেই অভিযান চালিযে পুলিশ বখাটে রুহুল আমিনকে আটক করে।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে ওই বখাটে রুহুল আমিন কে আটক করে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাত, ৩০ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাইদুর রহমানের মেয়ে স্থানীয় চাউরউলি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী হাজেরা বেগম মাদরাসায় যাওয়ার পথে একই গ্রামের আব্দুল মনাফের বখাটে পুত্র রুহুল আমিন (১৫) দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন হাজেরা বেগমের আর্তচিৎকারে এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হাজেরা বেগমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, বখাটে রুহুল আমিনের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে হাজেরার উপর হামলা চালায়। অবশ্য পুলিশ বলছে, ছাগল নিয়ে উভয় পরিবারের বিরোধের জের ধরে এই হামলা চালিয়েছে রুহুল আমিন।খবর পেয়ে ৩০ জুন রাতেই অভিযান চালিযে পুলিশ বখাটে রুহুল আমিনকে আটক করেছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত মেয়ের বাবা। ঘটনার সাথে জড়িত রুহুল আমিন স্বীকারোক্তিমুলক জাবানবন্দি দেয়ায় তাকে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।