বড়লেখায় ছড়ার ওপর বাড়ি : রাস্তায় ভাঙ্গন
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৩:৫৮,অপরাহ্ন ১৩ জুন ২০১৯
জানা গেছে, বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং সদর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ছাটমা ছড়া (নদী)। এ ছড়া দিয়েই উজানের কয়েকটি গ্রামের বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু ছড়ার তীরের খাল শ্রেণীর ভুমি প্রভাবশালীরা জবর দখল করায় পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী-জফরপুর রাস্তাার উত্তর হাটবন্দ এলাকার চেরাগ আলীর দোকানের পিছনে ষাটমা ছড়ার তীরে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে স্থানীয় বাচ্চু মিয়ার নিকট থেকে ২ শতাংশ ভুমি ক্রয় করেন জনৈক মীর হোসেন। প্রথমে ওই ২ শতাংশের ওপরই তিনি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ছড়ার পাড় ভরাট করতে থাকেন। ছড়ার ভুমি দখল করে ইতিমধ্যে অন্তত ৪ শতাংশের ওপর তিনি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এতে পানি প্রবাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ভবনের বিপরীত দিকের রাস্তায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্ঠিপাত হলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ রাস্তাটি ছড়া গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন, জাহাঙ্গির হোসেন, আলম হোসেন, আব্দুল আজিজ, আতাই মিয়া, শিবলু মিয়া প্রমূখ জানান, ষাটমা ছড়ার প্রস্থ একসময় প্রায় ৮০ ফুট ছিল। প্রভাবশালীরা ভরাট করায় এখন ৩০-৪০ ফুটে দাঁড়িয়েছে। মীর হোসেন মাত্র ২ শতাংশ ভুমি ক্রয় করে ছড়া দখল করে ৪-৫ শতাংশ ভুমি জুড়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। এতে পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় পশ্চিম পাড়ের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢলে রাস্তার ব্যাপক স্থান ভেঙ্গে ছড়া গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে এ এলাকার ৫০ পরিবারের ৫ শতাধিক মানুষকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে ছড়ার বেদখলকৃত ভুমি পুনরুদ্ধার ও রাস্তার পার্শে গার্ড ওয়াল নির্মাণ না করলে রাস্তা বিলিন ও ষাটমা ছড়া অস্থিত্ব সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মীর হোসেনর জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে স্থানীয় বাচ্চু মিয়ার নিকট থেকে ২ শতাংশ ভুমি ক্রয় করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ছড়ার ভুমি তিনি দখল করেননি। এসব পত্রিকায় লিখে কোন লাভ নেই।
পৌরমেয়র মো. আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, ষাটমা ছড়ার ওপর নির্মিত কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ইতিমধ্যে অপসারণ করেছেন। অন্যান্যগুলো চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। ছড়ার ওপর বাড়ি নির্মাণকারী মীর হোসেনকে অফিসে ডেকে নিয়ে স্থপনা সরাতে বলবেন। রাস্তা ও ছড়া রক্ষায় পৌরসভা প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।